সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলাম রীতি অনুসারে পবিত্র রমজান (Ramdan) মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধ করার দাবিতে সুর চড়ালেন এমএনএস (MNS) সুপ্রিমো তথা প্রয়াত বাল ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। তাঁর সাফ কথা, “কারও প্রার্থনায় আমার আপত্তি নেই। কিন্তু মাইক বাজিয়ে নমাজ পড়া বরদাস্ত করা হবে না।”
মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান শনিবার মারাঠি নববর্ষ উপলক্ষে শিবাজি পার্কের এক অনুষ্ঠানে রীতিমতো হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, “মসজিদে কেউ প্রার্থনা করতেই পারেন। আমি কারও প্রার্থনার বিরোধী নই। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারকে মসজিদে মাইক বন্ধ করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মসজিদে আপনারা কেন মাইক বাজান? ইসলাম (Islam) ধর্ম যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন তো মাইক ছিল না।” এরপরই রাজ ঠাকরের (Raj Thackeray) হুঁশিয়ারি, “সরকার যদি মসজিদে মাইক ব্যবহার বন্ধ না করে, তাহলে এমএনএস কর্মীরা সব মসজিদের সামনে মাইক লাগিয়ে হনুমান চালিসা বাজাবে।”
[আরও পড়ুন: ৩ লক্ষ কোটির বেশি ঋণ! ‘ফাঁদে’ পড়েছে মোদির নিজের রাজ্য গুজরাট, সতর্ক করল CAG]
এখানেই থামেননি রাজ ঠাকরে। মাদ্রাসার (Madrasa) শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধানের অনুরোধ,”মহারাষ্ট্রের মাদ্রাসা এবং মাজারগুলিতে তল্লাসি চালান। এসব জায়গায় পাকিস্তানি সমর্থক বাড়ছে। মুম্বই পুলিশ জানে এসব মাদ্রাসায় কী হয়। কিন্তু আমাদের বিধায়করা এদের ভোটব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করছে। এদের আধার কার্ডও থাকে না, বিধায়করা তৈরি করে দেয়।”
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বেড়েছে সম্পত্তি, আম্বানিকে পিছনে ফেলে ১০০ বিলিয়নের মালিক গৌতম আদানি]
মহারাষ্ট্রের শিব সেনা (Shiv Sena) নেতৃত্বাধীন সরকারকে তুলোধোনা করে যোগীর উত্তরপ্রদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ঠাকরে। রাজ ঠাকরের মন্তব্য,”উত্তরপ্রদেশ উন্নতি করছে দেখে ভাল লাগছে। মহারাষ্ট্রেও আমরা একই উন্নয়ন দেখতে চাই।” বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আগামী দিনে হিন্দুত্বকেই প্রধান্য দিতে চান। বস্তুত এদিন হিন্দুত্ব ইস্যুতে উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনাকে টার্গেট করেন রাজ ঠাকরে। কংগ্রেস (Congress) এবং এনসিপির (NCP) সঙ্গে হাত মেলানোর পর শিব সেনা উগ্র হিন্দুত্ব থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। সেনার সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভোটারদের এবার টার্গেট করছেন রাজ ঠাকরে। আগামী দিনে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোরও ইঙ্গিত মিলেছে তার কথায়।