সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে বড়পর্দায় ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ঘটতে চলেছে, এ কথা এতদিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। কিন্তু বছরশেষে টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে আরেক সুখবর। সূত্রের খবর মানলে, বহু বছর বাদে পরিচালনায় ফিরছেন টলিউডের মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। কথাবার্তাও নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে।
১৯৬৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’। ক্যামেরার সামনে সফর শুরু হয়েছিল ছোট্ট বুম্বার। ১৯৮০ সালে সেই বুম্বাই হয়ে ওঠেন টলিউডে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিনেমার সংখ্যা এত যে উইকিপিডিয়াকেও কিছু বছরে ব্যবধানে তার তালিকা তৈরি করতে হয়েছে। বাণিজ্যিক সিনেমার হিরোর তকমাকে ছাপিয়ে নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুধু অভিনেতা নন স্টুডিও পাড়ার মহীরুহ হয়ে উঠেছেন। যার ছায়ায় অনেকেই নিশ্চিন্ত বোধ করেন।
[আরও পড়ুন: ‘বিশের বিষ’ নিয়ে তৈরি রুদ্রনীলের বিশেষ কবিতা, ছন্দে ফেরালেন গোটা বছরের স্মৃতি]
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে ক্যামেরার নেপথ্যে দু’বার পরিচালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘পুরুষোত্তম’। সে ছবিতে ছিলেন দেবশ্রী রায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে’র মতো তারকা। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘আমি সেই মেয়ে’। তাতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন জয়া প্রদা, রঞ্জিৎ মল্লিক, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, বাংলাদেশি তারকা আলমগীর। দুই ছবিরই নায়ক ছিলেন প্রসেনজিৎ। নতুন ছবি তৈরি হলে তিনিই নায়ক হবেন কিনা তা তো সময়ই বলবে। তবে শোনা গিয়েছে, টলিউডের এক বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথা বার্তা অনেকটাই এগিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ-শুভশ্রী থেকে দেব-ঋতাভরী, সূর্য ডুবতেই বর্ষবরণে মাতোয়ারা টলি তারকারা]
লকডাউনে খুব একটা কাজ করেনি প্রসেনজিৎ। শুধু কিছুদিন আগে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছিলেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট দিয়ে গিয়েছেন। নিজের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা কাহিনি শুনিয়েছেন। এবার পরিচালনায় এই রটনায় সিলমোহর পড়লে নতুন বছরে এর থেকে ভাল খবর বাংলা সিনেমা দর্শকদের কাছে আর কীই বা হতে পারে!