রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য বিজেপিতে এই মুহুর্তে কোনও রদবদল হবে না। তিনিই রাজ্য সভাপতি থাকছেন বলে একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বদল নিয়ে গেরুয়া শিবিরে জল্পনা তুঙ্গে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি করা হচ্ছে এবং দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাওয়া হবে জোর জল্পনা চলছে পদ্মশিবিরে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে রদবদল নিয়ে শনিবার সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হয়। সুকান্ত বলেন, ‘‘মিডিয়ায় খবর চলছিল, আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। নেতৃত্ব বলেছে এখন এবং ২০২৪-এর লোকসভা ভোট পর্যন্ত কোনও পরিবর্তন হবে না। ব্যক্তি সুকান্ত কেউ নয়, বঙ্গ বিজেপি একসঙ্গে লড়বে একটা টিম হিসেবে। সুকান্ত রাজ্য সভাপতি থাকলেও গোটা টিম হিসেবে লড়বে বঙ্গ বিজেপি।’’ রাজ্য সভাপতি বা রাজ্য নেতৃত্বে এখনই কোনও রদবদল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব করছে না বলে এদিন সুকান্ত নিজে দাবি করায় জল্পনায় জল পড়ল বলেই মনে করছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: সমনাম বিভ্রাট! বিনা দোষে ৮ মাস জেলেবন্দি যুবক, লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার]
এদিন সুকান্ত আরএসএসের (RSS) কার্যালয় কেশব ভবনেও গিয়েছিলেন। তারপরই তাঁর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) রাজ্য সভাপতি করার ব্যাপারে আরএসএস প্রবল আপত্তি করেছে বলেই খবর। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ শুভেন্দুকে করতে চাইলেও আরএসএসের বাধাতেই তা আটকে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির জেলা পরিষদ সভাপতিদের নিয়ে ১২ ও ১৩ আগস্ট কোলাঘাটে পঞ্চায়েত সম্মেলন হবে। সেখানে বঙ্গ বিজেপির তরফে কেউ অংশ নেবে না। কারণ, এ রাজ্যে বিজেপির হাতে জেলা পরিষদ নেই। সেই সম্মেলনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা থাকবেন বলে সুকান্ত এদিন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় নেতারা লাগাতার আসবেন। খেলা এখন অনেক বাকি।
[আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে দেড় বছরে এডস আক্রান্ত ৬০ প্রসূতি, শোরগোল যোগীরাজ্যে]
অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার কয়েকশো কর্মী-সমর্থক সল্টলেকে বিজেপির নয়া দফতরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, মণ্ডল ও জেলা স্তরে যাঁরা নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন বা পেতে চলেছেন, তাঁরা অধিকাংশই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন। দলের পুরোনো, যোগ্য কর্মীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ দিন সেই সময় সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সুকান্তের। কিন্তু তিনি শেষপর্যন্ত আর দপ্তরে যাননি। দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের বক্তব্য জানান বিক্ষোভকারীরা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘দলীয় কার্যালয়ে এই ধরনের বিক্ষোভ অনভিপ্রেত। না হলেই ভাল হত।’’