নব্যেন্দু হাজরা: শীতকাল কবে আসবে? এই প্রশ্ন আর সুপর্ণাকে করার প্রয়োজন নেই। কারণ উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করেছে। আর তাতেই কলকাতার পারদ নিম্নমুখী। কুড়ির কোটায় নেমে গিয়েছে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সপ্তাহের শুরুতেই এই কথা জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে।
রাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও হালকা শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। সকালে আংশিক কুয়াশা থাকছে ও থাকবে বলেই জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। সোমবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ। শহরে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ৩১.৮ ডিগ্রি।
[আরও পড়ুন: ‘ইউটিউব’ দেখে জালিয়াতির শিক্ষা! কার্ড চুরি করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ, গ্রেপ্তার জালিয়াত]
জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা। কোথাও কোথাও ইতিমধ্যেই সকালের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছে। পানাগড়, শ্রীনিকেতন, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতে সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রির নিচে। পশ্চিমের জেলা গুলিতে শীতের আমেজ বেশি অনুভূত হবে বলে খবর। আপাতত কয়েকটা দিন হেমন্তের পরিবেশ বজায় থাকবে সারা বাংলা জুড়ে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির প্রভাবে বুধবার থেকে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা কমবে বলেই জানা গিয়েছে। বাড়বে কুয়াশার দাপট। এদিকে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শ্রীলংকা ও তামিলনাড়ু উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ক্রমশ পশ্চিম দিকে এগিয়ে কেরল উপকূলে আরব সাগরের দিকে যাবে। যার ফলে পয়লা নভেম্বর থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিম রাজ্যগুলিতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।