নব্যেন্দু হাজরা: কালীপুজো, দীপাবলি কাটতেই কমতে শুরু করেছে রাজ্যের উষ্ণতা। ভাইফোঁটার দিনই কুড়ির নিচে নেমে গেল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমেছে। ফলে শুষ্ক হয়েছে আবহাওয়া। ত্বকে টান ধরতে শুরু করেছে।
শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ৩০.১ ডিগ্রি। জেলার দিকের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছে। ভাইফোঁটার পর থেকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে আগামী কয়েকটা দিন রোদ ঝলমলে আবহাওয়া বজায় থাকবে। আর তার জেরেই সকালের দিকে তাপমাত্রা বেশ কম থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। সেখানে তাপমাত্রা ৮ থেকে ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকতে পারে। আগামী কয়েকটা দিন জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে শীতের আমেজও ভালই টের পাওয়া যাবে। ফলে রীতিমতো শীতের পোশাক পরতে হতে পারে বঙ্গবাসীকে।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Updates: দীপাবলির মরশুমে খানিক স্বস্তি, কমল রাজ্যের করোনা সংক্রমণ]
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ আরবসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি শক্তি বাড়িয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। শক্তিশালী নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করতে পারে। নিম্নচাপ ও উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। আগামী কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাডু, পুদুচেরি, করাইকাল এবং কেরলে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে নভেম্বরের এই প্রথম সপ্তাহে। দীপাবলির পর আবার দিল্লির দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবিদরা। শীতের মরশুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেদারনাথ যাত্রার পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।