সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশন (Winter Session)। তেমন কোনও আলোচনা বা গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে পারেনি কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে মোদি সরকারের পাখির চোখ শীতকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশন শুরু হতে পারে চলতি মাসের ২৯ তারিখে। চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সোমবার কেন্দ্রের কাছে এই মর্মেই প্রস্তাব পাঠাল ক্যাবিনেট কমিটি অফ পার্লামেন্টরি অ্যাফেয়ার্স।
গত দেড় বছরের মতো কোভিডবিধি মেনেই চলবে সংসদের (Parliament) অধিবেশন। সবমিলিয়ে ২০ দিন চলবে অধিবেশন। গত বছর করোনার কোপে বাদ পড়েছিল শীতকালীন অধিবেশন। কাটছাঁট হয়েছিল বাজেট ও বাদল অধিবেশনও। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অফ পার্লামেন্টরি অ্যাফেয়ার্স এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন: উপহার অগ্নিকাণ্ড: ৭ বছরের জেল দুই ব্যবসায়ী ভাইয়ের, দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানাও]
গত কয়েকটি অধিবেশনে কঠোরভাবে কোভিডবিধি মেনে চলা হয়েছে। সাংসদদের কোভিড পরীক্ষা করা ছিল বাধ্যতামূলক। এবার কী কী নিয়ম নেমে অধিবেশন চলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল বর্ষাকালীন অধিবেশন। বিরোধী-শাসক দ্বন্দ্বে তুলকালাম বেধে যায়। অচল সংসদের কারণ জনগণের করের টাকা নষ্ট হয় পালটা সরব হয় শাসকদল। অধিবেশন না চলার জন্য কত কোটি টাকা কী ভাবে নষ্ট হয়েছে সেই খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “এতদিনে মাত্র ১৮ ঘণ্টা সংসদ চলেছে, যা ১০৭ ঘণ্টা চলতে পারত। অর্থাৎ ৮৯ ঘণ্টা জলে গিয়েছে। যাতে করদাতাদের ১৩৩ কোটি টাকা বরবাদ হয়েছে।”