shono
Advertisement

‘ভারাক্রান্ত মনে একনাথ শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মানতে বাধ্য হয়েছি’, মহারাষ্ট্রের BJP সভাপতির মন্তব্যে শোরগোল

মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারেও শুরু হয়ে গেল কলহ?
Posted: 12:34 PM Jul 24, 2022Updated: 12:34 PM Jul 24, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনিচ্ছা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিণ্ডেকে (Eknath Shinde) মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এবার বোমা ফাটালেন মারাঠাভূমের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল। তাঁর দাবি, শুধু মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার গঠনের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত মানতে হয়েছে তাঁদের। চন্দ্রকান্ত পাতিলের (Chandrakant Patil) এই বক্তব্যের পর মহারাষ্ট্রের নবগঠিত সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

Advertisement

মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের (Uddahv Thackeray) সরকারের পতনের পর কমবেশি সকলেরই প্রত্যাশা ছিল, ফের মসনদে বসবেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ফড়ণবিসই ঘোষণা করেন, তিনি নন, এবারে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে চলেছেন শিব সেনা ভাঙানোর নায়ক একনাথ শিণ্ডে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং তিনি দলের একান্ত সৈনিক হিসাবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের সেই সিদ্ধান্তেই অসন্তোষের বীজ রোপিত হয়েছিল। নতুন সরকার গঠনের পর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই সেই বীজ যেন মহীরুহে পরিণত হল।

[আরও পড়ুন: মেয়ের নামে বেআইনি বার, স্মৃতিকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করুন, মোদির কাছে দাবি কংগ্রেসের]

বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল বলেই দিলেন, ভারাক্রান্ত মনে শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মেনেছেন তাঁরা। পাতিলের কথায়,”আমরা এমন একজন নেতাকে চাইছিলেন যিনি স্থায়ী সরকার তৈরির বার্তা দিতে পারেন। যে কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং দেবেন্দ্রজি (Devendra Fadanbis) শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হই।” প্রশ্ন উঠছে হঠাত কেন চন্দ্রকান্ত পাতিল এমন কথা বলছেন। তাহলে কি শিণ্ডে সরকারের কাছে খুশি নয় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব?

[আরও পড়ুন: আন্দোলনে খামতি! বৈঠকে সরব বিধায়করাও, দিল্লির চাপে রিপোর্ট নিয়ে সতর্ক পদ্ম শিবির]

এদিকে, মহারাষ্ট্রে সরকার দখলের পর একনাথ শিণ্ডের লক্ষ‌্য শিব সেনার (Shiv Sena) দখল নেওয়া। সহজে ছাড়ার পাত্র নন উদ্ধব ঠাকরেও। এই আবহে শিব সেনার দুই পক্ষের নেতাকেই নিজ নিজ দাবির সপক্ষে নথি জমা দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেই সঙ্গে শিব সেনায় নিজ নিজ গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে নথি দিতে বলা হয়েছে একনাথ, এবং উদ্ধবকে। ৮ অগস্টের মধ্যে দুই পক্ষকেই তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার