shono
Advertisement

চুক্তি নিয়ে বাড়ছে জট, ক্ষতিপূরণ ছাড়া ইস্টবেঙ্গলকে স্পোর্টিং রাইটস ফেরাবে না শ্রী সিমেন্ট

রেজিস্ট্রেশন শুরু হলেও একজন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সামান্য কথা পর্যন্ত বলেনি লাল-হলুদ।
Posted: 11:58 AM Jun 12, 2021Updated: 11:58 AM Jun 12, 2021

স্টাফ রিপোর্টার : ইস্টবেঙ্গলের সত্যিই কি হবে এই মরশুমে! না জানেন, ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কর্তারা। না জানেন, শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) কর্তারা। সমর্থকদের আশঙ্কা, শেষ মুহূর্তে কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে তো লাল-হলুদ! কারণ, ৯ জুন থেকে ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে গেলেও, একজন ফুটবলারকেও কিন্তু এখনও সই করানো হয়নি। ফলে ভাল নেই লাল-হলুদ সমর্থকরা। কারণ, তারা মাঠের বাইরের এই কুট কাচালি জানেন না। এমনকি বোঝেনও না। তারা শুধু জানেন, তাদের প্রিয় দল দারুণ দল গড়ে একের পর এক ট্রফি জিতবে। চোখের সামনে দেখছেন, ISL-এর অন্য দলগুলি একের পর এক ফুটবলার সই করাচ্ছে। আর ইস্টবেঙ্গল সই তো দূর। একজন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সামান্য কথা পর্যন্ত বলেনি। প্রথম দফায় ফুটবলার রেজিষ্ট্রেশন করানো সম্ভব হবে আগস্ট পর্যন্ত। যদি একেবারে শেষ মুহূর্তেও দু’পক্ষের ঝামেলা মিটে সমাধানের রাস্তা বের হয়, তাতেও তো আর ফুটবলার সই করানো সম্ভব হবে না! তাহলে কীভাবে খেলবে ইস্টবেঙ্গল?

Advertisement

আপাতত পরিস্থিতি এতটাই বাজে জায়গায় চলে গেছে যে, শেষ পর্যন্ত বিদায় নিলেও ক্ষতিপূরণ না নিয়ে কিছুতেই স্পোর্টিং রাইটস ফেরত দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। তাহলে উপায়? এদিকে, শ্রী সিমেন্টের দেওয়া চুক্তিপত্রে লাল-হলুদ কর্তারা সই করে দেবেন, এরকমও কোনও খবর নেই। তবে পুরো ব্যাপারটাই লক্ষ্য রাখছেন এফএসডিএল কর্তারা। বলাই বাহুল্য প্রতি বছর এক কাহিনীতে তাঁরা রীতিমতো বিরক্ত।

[আরও পড়ুন: ‘ম্যাচটা সারাজীবন মনে রাখব’, নাদালকে হারিয়ে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে বললেন জকোভিচ]

গত বছর ফেডারেশনকে সঙ্গী করে অনেক কষ্টে এএফসি থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের নামে লাইসেন্স করানো হয়েছিল। এই মরশুমে শ্রী সিমেন্ট যদি চলে যায়, তাহলে ফের লাইসেন্স বদল করতে তারা এএফসির কাছে দরবার করবে কি না, তা নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর এনিয়েও এএফএসডিএল এবং ফেডারেশনে রীতিমতো এখন আলোচনা চলছে। তার মধ্যে আবার কোয়েস ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের বেতন না মেটানো হলে ফিফার নির্বাসন রয়েছে। এবং এনিয়েও শ্রী সিমেন্টের দেওয়া টার্মশিটে মারাত্মক সব পয়েন্ট রয়েছে।

ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে শ্রী সিমেন্টের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ইস্টবেঙ্গলের আগের কোনওরকম আর্থিক দায় শ্রী সিমেন্টের নেওয়ার কথা লেখা নেই। এদিকে, যা শোনা যাচ্ছে, তাতে সব ফুটবলারের বকেয়া মেটাতে প্রায় চার কোটির মতো খরচ হতে পারে লাল-হলুদে। এই টাকা যদি লাল-হলুদ কর্তারা না দিতে পারেন, তাহলে চুক্তিপত্রে সই হলে সেই টাকা ধার হিসেবে দিতে পারে শ্রী সিমেন্ট। সেক্ষেত্রে, এক মাসের মধ্যে ধারের টাকা শ্রী সিমেন্টকে পরিশোধ করতে হবে। নাহলে এক বছর ধরে নাম মাত্র সুদেও সেই ধার শোধ করতে পারবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোনও কারণে যদি এক বছরের মধ্যে সেই টাকা শোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তিমতো ক্লাবের হাতে থাকা ২৪ শতাংশ শেয়ারের অনেকটাই চলে যাবে শ্রী সিমেন্টের হাতে। ফলে বোর্ডে দু’জন সদস্যর জায়গায় সেক্ষেত্রে ক্লাবের একজন সদস্য হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে। ফলে নানা দিক থেকে জটিলতা রয়েছে। আর এই জট খুলে ইস্টবেঙ্গল এই মরশুমে আদৌ ফুটবল খেলতে পারবে তো! লাখ লাখ লাল-হলুদ সমর্থকরা শুধু এটুকুই জানতে চায়।

[আরও পড়ুন: ‘ষড়যন্ত্র করে ভিলেন বানানো হচ্ছে ওকে’, শাকিবের মেজাজ হারানোর বিতর্কে পাশে স্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement