সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫৫ বছরের এক মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে ঘোরানোর অভিযোগ উঠল পাঞ্জাবের (Punjab) তারন তারনে। গত ৩১ মার্চ এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনার পরে আটক করা হয়েছে তিনজনকে।
কিন্তু কেন নিগ্রহ করা হল ওই মহিলাকে? জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে তাঁর ছেলে এক তরুণীর সঙ্গে পালিয়ে যান। এবং পরিবারের অমতেই তাঁকে বিয়েও করেন। অভিযোগ, এর পরই মেয়েটির বাড়ির লোক এসে প্রৌঢ়াকে নিগ্রহ করেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি ঘরে একাই ছিলেন। সেই সময় তাঁর ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখানে উপস্থিত হন। ছিঁড়ে ফেলা হয় প্রৌঢ়ার পোশাক। এর পর তাঁকে অর্ধনগ্ন করে গ্রামের মধ্যে হাঁটানো হয়। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মেয়েটির মা ও তাঁর ভাইয়েরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যে মোবাইলে ওই মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও করা হয়েছে, সেটি আটক করা হয়েছে।
পুরো বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তিনি বলেন, ''কেউই ওঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। না পুলিশ না স্থানীয় বাসিন্দারা। আমি আমাদের এক সদস্যকে ঘটনা খতিয়ে দেখতে ওখানে পাঠিয়েছি।''
[আরও পড়ুন: উপাচার্যদের উনিই বেতন দিন! ‘শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ’ ইস্যুতে রাজ্যপালকে তোপ ব্রাত্যর]
এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রংও। পাঞ্জাবের আম আদমি সরকারকে তোপ দেগেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা এস এস চান্নি বলেছেন, ''পাঞ্জাব সরকার মহিলাদের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান দেখিয়ে দিলেন, তালিবান কেবল আফগানিস্তানেই নেই। পাঞ্জাবেও তালিবান রয়েছে। ওই মহিলা অসহায়ের মতো একটা পিলার থেকে অন্য পোস্টের দিকে ছুটে গিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কেউই সাহায্য়ের জন্য এগিয়ে আসেনি।''