সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: অন্য নারীতে মন মজেছে স্বামীর। তা নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি লেগেই ছিল। সম্প্রতি স্বামী স্থির করেন স্ত্রীর সঙ্গে একবাড়িতেও থাকবেন না। শিক্ষা দিতে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই কাজে তাকে মেয়ে এবং জামাই সাহায্য করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃতের নাম আফিচাঁদ শেখ। বছর ঊনপঞ্চাশের কৃষিজীবী ওই ব্যক্তি মুর্শিদাবাদের মহিষাস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচগেরিয়া মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকাই তাঁর স্ত্রী বাড়ির সামনে বসে উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করতে শুরু করেন। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। মহিলা জানায়, তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছেন। সেকথা শুনে প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। তাঁরা দেখেন ডাইনিং টেবিলের কাছে পড়ে রয়েছেন আফিচাঁদ। তাঁর নিম্নাঙ্গে রক্তের দাগ। গলাতেও কালশিটে। খবর দেওয়া হয় ভগবানগোলা থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ কার্যত তাজ্জব হয়ে যায়। দেখে আফিচাঁদের নিম্নাঙ্গ উধাও।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির নজর বগটুইয়ে, স্বজনহারা মিহিলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শাহর]
স্থানীয়দের দাবি, আফিচাঁদকে খুন করা হয়েছে। তাঁরা জানান, ওইদিন মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর বিবাহিত দুই কন্যা বাড়িতেই ছিল। বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকে কেউ আক্রমণ করলে কেউ চিৎকার করত। কিন্তু কারও চিৎকার শোনা যায়নি। শুধুমাত্র আফিচাঁদের স্ত্রীর কান্নাকাটির শব্দেই তাঁরা জড়ো হয়েছেন। আফিচাঁদের বাড়ির পাশেই থাকেন মৃতের দুই ভাই জয়নুদ্দিন শেখ ও ডাবলু শেখ। তাঁদের দাবি, ওইদিন দুপুরে মৃতের স্ত্রী সাবেকুর তাঁদের কাছে যান। আফিচাঁদের নামে নালিশ করেন। আফিচাঁদ পরকীয়া সম্পর্কের টানে আর বাড়িতে থাকতে চাইছেন না বলেই অভিযোগ জানায়। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে দেহ উদ্ধারের ঘটনা খুন ছাড়া আর কিছু নয় বলেও দাবি তাঁদের। ঠিক কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। মৃতের স্ত্রী সাবেকুর নাহার, দুই মেয়ে গোলাপি বিবি, বিনা বিবি এবং জামাই মজিবুর শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।