সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিশিল্ড (Covishield) টিকা নিয়েই মৃত্যু হয়েছে এক যুবতীর। এমন অভিযোগ দায়ের করে কেরল (Kerala) হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক দম্পতি। মৃত যুবতী ওই দম্পতির একমাত্র কন্যা। তাঁর মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকার এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে দায়ী করেছেন ওই দম্পতি। ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তাঁরা।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসের প্রথমদিকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ (Covishield First Dose) নেন নোরা সাবু নামের এক ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণী (Woman Died)।তিনি সাহিত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। টিকা নেওয়ার পরের দিন থেকেই তাঁর শরীর খারাপ হতে থাকে। শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকলে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। ওই তরুণীর পরিবারের তরফে দায়ের করা পিটিশন থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে জ্বর এবং মাথাব্যথার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু সেখানেও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।
[আরও পড়ুন: ইমরানের বিদায়ে কতটা লাভবান ভারত? কাশ্মীরে ফিরবে শান্তি?]
এরপর তাঁকে রেফার করা হয় আরেকটি হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে নোরার সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা অনেকখানি কমে গিয়েছে। তারপরেই জ্ঞান হারান তিনি এবং কনভালশন শুরু হয়ে যায় তাঁর শরীরে। ভেন্টিলেটরে রাখলেও লাভ হয়নি। ১২আগস্ট মারা যান নোরা। তাঁর মৃত্যুর পরেই মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানান নোরার মা জিন জর্জ এবং বাবা সাবু সি থমাস। তাঁরা দাবি করেন, কোভিশিল্ডের টিকা নিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের কন্যার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন পাঠানামথিত্তা জেলার মেডিক্যাল আধিকারিকরা।
সেই তদন্তে প্রমাণিত হয়, কোভিশিল্ডের টিকা নেওয়ার আগে কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না নোরার। টিকা নিয়েই তাঁর শরীর খারাপ হয়। তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “নোরা সাবু থ্রম্বোসাইটোপেনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কোভিশিল্ডের টিকা নেওয়ার পরে রোগ প্রতিরোধের প্রক্রিয়া শুরু হলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। খুবই কম ক্ষেত্রে এই ঘটনা হয়ে থাকে। ব্রিটেনের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সিদের এক লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ২০ জনের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি এন নাগারেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে মত পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।