সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই মেয়ের পর ছেলের জন্ম দিতেই হবে। তার জন্য মহিলাকে নগ্ন করে তাঁর সারা শরীরে মাখানো হল ছাই। আর এই কাজ করেছে স্বামী ও শাশুড়ি। এমনই অভিযোগ উঠেছে পুনে পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় থানা এলাকায়। সেখানকার মহালাং পোস্টে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীতা। জানা গিয়েছে, এক তান্ত্রিকের কাছ থেকে ওই ছাই আনে মহিলার স্বামী। অভিযুক্তদের তালিকায় তার নামও রয়েছে।
সূত্রের খবর মানলে মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে। প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়ার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। স্বামী ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও জানিয়েছেন মহিলা। তাঁর কথা অনুযায়ী, অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায় দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর।
[আরও পড়ুন: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান: কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে দিল্লিতে একাধিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়করা]
পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হওয়ার পর তাঁর পেটে লাথি পর্যন্ত মারা হয়েছিল। সংসার চালাতে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলা হয়েছিল। স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন মহিলা। আগস্ট মাসে তাঁকে আবার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসে স্বামী। তারপর তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সময় মহিলা কিছু টের পাননি। পরে মহিলা শ্বশুরবাড়ি ফিরে এলে তাঁকে পোশাক খুলে নগ্ন হতে বাধ্য করা হয়। তাঁর সারা শরীরে তান্ত্রিকের কাছ থেকে আনা ছাই লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতেই নাকি পুত্রসন্তান প্রাপ্তি হবে।
এই ঘটনার পরই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুনে পুলিশ মহিলার শাশুড়ি ও তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মহিলার স্বামী এখনও পলাতক। শোনা গিয়েছে, কন্ট্রাক্ট লেবারের কাজ করত ওই ব্যক্তি। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।