নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর: প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-সহ একজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murdabad) নওদা থানার কামাদপুর গ্রামে। অভিযোগ, শনিবার রাতে মূক ও বধির ওই গৃহবধুর উপর তাঁর স্বামী ও স্বামীর দুই বন্ধু পাশবিক অত্যাচার চালায়। ওই প্রতিবন্ধী গৃহবধূর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বধূর স্বামী মানারুল হক এবং শারিফুল খান নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের রবিবার বহরমপুর আদালতে তোলা হয়। বহরমপুর আদালতের বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই নিজের স্ত্রীকে এইভাবে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। কাঠগড়ায় স্বামী এবং তার বন্ধুরা। নওদার কামাদপুর গ্রামের ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মূক ও বধির ওই গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনী সংগঠন।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানানোয় খুন গলসির যুবক! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনীর জেলা সহ-সম্পাদক মাজেদ আলি বলেন, “ওই প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা পাশবিক। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে আমাদের সংগঠন।” এদিকে ওই গৃহবধূর দাদা বলেন, “বিয়ের সময় ১০ কাঠা জমি দেওয়া হয়েছিল বোনকে। সেই জমি বিক্রি করে টাকা পয়সা তছনছ করে দিয়েছে জামাই। ফের জায়গা বিক্রি করে শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আনার হুমকি দিচ্ছিল বোনের স্বামী মানারুল। ওই মানারুলই নিজের বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে এসে রাতদুপুরে ধর্ষণ করেছে নিজের স্ত্রীকে।”
অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন রাকবুল হক। এদিকে গতবার বিকেলে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নওদা থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বধূর মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।