পলাশ পাত্র, তেহট্ট : গৃহবধূকে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতের নাম সুপর্ণা হালদার(২১)। তাঁর বাপের বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায়। স্বামী সুরজিৎ হালদার জয়পুরে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। অভিযোগ, স্বামীর অবর্তমানে সুপর্ণাদেবীকে বেধড়ক মারধর করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রবিবার রাতে মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান গৃহবধূর আত্মীয়রা। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার সকালে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিন দুপুরেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিজনরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নাকাশিপাড়া থানার ম্যাচপোতায়।
জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর আগে ম্যাচপোতার সুরজিৎ হালদারের সঙ্গে কৃষ্ণগঞ্জের সুপর্ণাদেবীর বিয়ে হয়। তাঁদের মাস ছয়েকের সন্তানও রয়েছে। কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যেই থাকেন সুরজিৎবাবু। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানাকারণে সুপর্ণাদেবীর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেশ কয়েকবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িও চলে গিয়েছেন ওই গৃহবধূ। তবে অত্যাচারের মাত্রা কমেনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রবিবার দিনও কোনও একটি কারণে হালদার বাড়িতে অশান্তি চরমে উঠলে ওই গৃহবধূকে গঞ্জনা দেওয়ার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ, তারপর কোনও একসময় খুন করে গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। নিজেদের দায় এড়াতে পাড়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় আত্মহত্যার খবর। গৃহবধূর বাড়িতে ফোন করে অসুস্থতার খবর জানানো হয়। খবর পেয়ে আত্মীয়রা তড়িঘড়ি শ্বশুরবাড়িতে এসে মেয়েকে দেখে স্থানীয় বেথুয়াডহরি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা সুপর্ণাদেবীকে মৃত ঘোষণা করলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, পরিবারের লোকজনই তাঁকে খুন করেছে।
[কাটোয়ায় ইভটিজারকে প্রকাশ্যে চড় কলেজ ছাত্রীর]
বিষয়টি নিয়ে নাকাশিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অভিযুক্তরা পলাতক। জয়পুরে মৃতের স্বামী সুরজিৎ হালদারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।