সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বছর বারোর নাবালিকার উপর অকথ্য অত্যাচার সৎ মায়ের। নাবালিকাকে খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ। মহেশতলা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগরের ঘটনায় গ্রেপ্তার নাবালিকার বাবা-মা।
ওই নাবালিকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগরের বাসিন্দা। নাবালিকার দাবি, তাঁর মা অন্যত্র বিয়ে করেন। কয়েকদিন পরই বাবাও নতুন বিয়ে করেন। তখন নাবালিকা মাত্র বছর পাঁচেক। প্রথম দিকে সব ঠিকঠাকই ছিল। বাবার দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানের জন্মের পরই পরিস্থিতি বদল হয়। নাবালিকার প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রায়শই ওই নাবালিকাকে দিয়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করাতে শুরু করে নির্যাতিতার সৎ মা। তার অত্যাচারে নাবালিকার স্কুলে যাওয়াও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘খালি পেটে বিপ্লব হয় না, পুজোয় আছি, উৎসবে নেই’, অবস্থান স্পষ্ট করলেন স্বস্তিকা]
মঙ্গলবার রাতেও বাড়ির কোনও কাজ করতে বলে নাবালিকার মা। সেই কাজেই কিছু ভুল হয়ে যায়। অভিযোগ, এর পরই রুটি করতে করতেই গরম খুন্তি নিয়ে এসে নাবালিকার হাতে চেপে ধরে সৎ মা। নাবালিকা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। পাড়ার মহিলারা ঘরে ঢুকে পড়েন। নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। নাবালিকার সৎ মাকে বেধড়ক মারধর করেন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগেও বহুবার খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ায় নাবালিকার শরীরের বিভিন্ন অংশে পোড়া দাগও রয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনা জানাজানি হয়। পাড়ার মহিলারা আবারও অভিযুক্তর বাড়ি ঘেরাও করে।
তাকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় একসময় পাড়ার মহিলারা সৎ মাকে জুতো দিয়ে মারতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ওই সৎ মা এবং নাবালিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আপাতত ওই নাবালিকা তার দিদার কাছেই রয়েছে। মুদিয়ালি বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে সবরকমভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন ওই স্কুলেরই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।