সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ক্লাবের সদস্যদের হাতেই শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এক তরুণী। ফুলবাগান থানায় (Phoolbagan PS) লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দের পুজো দেখতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে। যদিও সমস্ত দাবি অস্বীকার করে থানায় পালটা অভিযোগ জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষও।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ মহানবমীতে এক যুবক, তাঁর ভাই এবং ভাইয়ের বান্ধবী কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দের পুজো দেখতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, মণ্ডপের কাছেই শ্লীলতাহানির শিকার হন ওই তরুণী। ক্লাবের সদস্যদের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। যুবকের অভিযোগ, পুজো (Durga Puja 2021) দেখতে বেরিয়ে যদি এভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়, তাহলে তো মণ্ডপে যাওয়াই যাবে না। শনিবার ফুলবাগান থানায় এ বিষয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই তরুণী।
[আরও পড়ুন: ‘আমি এখনও আইনত শোভনের স্ত্রী’, বৈশাখীকে সিঁদুর পরানো নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রত্না]
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের অন্যতম পুজো উদ্যোক্তার পালটা অভিযোগ, তিনজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাছাড়া ক্লাবে বাচ্চারাই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় ছিল। তাই শ্লীলতাহানির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আর এমনিতেই প্রতিটা পুজো প্যান্ডেলের বাইরে পুলিশ মোতায়েন থাকে। যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে নিশ্চয়ই তা পুলিশের চোখে পড়ত। কিন্তু তেমন কোনও বিষয়ও ক্লাবের কানে আসেনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই এলাকায় ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে পুজোর মধ্যে। যেখানে অকারণে পুজোর নাম টেনে আনা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ফেসবুকে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), কলকাতা পুলিশ এবং ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের উদ্দেশে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছে কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ (Kankurgachi Jubak Brinda)। তাঁদের অভিযোগ, ষষ্ঠীর রাত থেকে তাদের পুজো প্রাঙ্গনে ক্রমাগত আশপাশের এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আক্রমণ করছে। ব্যানার, হোর্ডিং ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের উত্যক্তও করা হচ্ছে। মদ্যপ অবস্থায় পুজো প্রাঙ্গনে অসভ্যতা করা হয়েছে। এমনকী পুজো শেষের রাতে অন্ধকারে প্যান্ডেল এবং প্রতিমা লক্ষ্য করে ইট, কাচের বোতল ছোঁড়া হয়। ফলে মণ্ডপের অনেকাংশ ও প্রতিমার কিছু অঙ্গ ভেঙেও গিয়েছে। পুলিশ-প্রসাশনের কাছে এই ঘটনার সুবিচার চেয়েছে কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ।