সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলন্ত ট্রেনে প্রসব যন্ত্রণা এবং সন্তান প্রসবের ঘটনা নতুন না। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) রেল লাইনেই সন্তান প্রসব করলেন এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটে মন্দসৌর জেলার শামগড় রেলওয়ে স্টেশনে (Shamgarh Railway Station)। তরুণীকে সাহায্য করেন স্টেশনে উপস্থিত রেলকর্মীরা। তাঁরাই দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তরুণী ও সদ্যোজাতকে ভরতির ব্যবস্থা করেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম সীমা বাই। বছর পঁচিশের প্রসূতি সীমা রাজস্থানের (Rajasthan) বারা জেলার তোমাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এদিন পরেশনাথ-আসনসোল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের জেনারেল কামড়ায় চেপে আমেদাবাদ থেকে কোটা যাচ্ছিলেন তরুণী। মধ্যপ্রদেশের শামগড় স্টেশনে ট্রেন পৌঁছানোর বেশ খানিকটা আগেই প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। প্রথমে যাত্রীরাই খেয়াল করেন তা। এরপর খবর পান ওই ট্রেনের রেলকর্মীরা। তাঁরা সীমার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগযোগ করেন। এবং সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তরুণীকে শামগড় স্টেশনে নামিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: ফের করোনার রক্তচক্ষু দেশে, লাফিয়ে বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা, অ্যাকটিভ কেস ৯৪ হাজারের বেশি]
সেই সময় তরুণীর প্রসবযন্ত্রণা ছিল তুঙ্গে।এর মধ্যে স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে নামার পর প্রস্রাব পায় তাঁর। সেই কারণে প্লাটফর্ম থেকে রেল লাইনে নামেন তিনি। আর তখনই সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর সীমাকে সাহায্য করতে ছুটে আসেন শামগড় স্টেশনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন রেলকর্মী। পয়েন্টম্যান পিনকেশ সেনি, সাফাইকর্মী রাজু এবং কয়েকজন আরপিএফ (RPF) কর্মী দ্রুত স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করেন। একটি অ্যাম্বুলেন্সে তরুণী ও সদ্যজাতকে তুলে দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভরতি করে দেন তাঁরা।
এই বিষয়ে শামগড় স্টেশনের স্টেশন মাস্টার বলেন, ট্রেনেই রেলকর্মীরা তরুণীর পরিস্থিতি বুঝে তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগযোগ করেছিলেন। তাঁরাই যত্ন নিয়ে তরুণীকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। স্টেশনে নামার পরেও রেলকর্মীরা তরুণীকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। তাঁরাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভরতির ব্যবস্থা করেন।
[আরও পড়ুন: মনোনয়ন জমা দেবেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা, সঙ্গী অভিষেক]
এপ্রিল মাসে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের ভুবনেশ্বর থেকে সমস্তিপুরগামী চলন্ত ট্রেনের মধ্যে সন্তান প্রসব করেন এক যুবতী। সেই খবর পেয়ে মেদিনীপুর (Midnapore) স্টেশনে থামানো হয়েছিল ট্রেনটিকে। এরপর আরপিএফের ‘মাই সহেলি’ টিমের সদস্যরা চিকিৎসককে ডেকে মা এবং সদ্যোজাতকে অতি যত্নের সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। এক মুহূর্তের জন্যও তাঁদের কোনওরকম অসুবিধা হতে দেননি। আর এই ভূমিকার জেরেই ফের যাত্রীমহলে প্রশংসিত হল আরপিএফ।