কলহার মুখোপাধ্যায়: বাইকে ধাক্কা গাড়ির। নাগেরবাজার উড়ালপুলে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Accident)। উড়ালপুল থেকে ছিটকে নিচে পড়লেন বাইক আরোহী এক মহিলা। বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর প্রাণ গেল তাঁর।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা অসীম বিশ্বাস এবং বিউটি বিশ্বাস। তাঁদের ১০ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বাইকে চড়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঠিক কাজিপাড়ার উপরে নাগেরবাজার উড়ালপুলে একটি কালো এসইউভি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকটির। তার জেরে উড়ালপুল থেকে নিচে পড়ে যান স্ত্রী। উড়ালপুলেই ছিটকে পড়েন অসীম।
[আরও পড়ুন: SSC গ্রুপ ডি নিয়োগে ‘বেনিয়ম’, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
দু’জনকেই উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালে ভরতির সময় চিকিৎসকরা জানান, বিউটির মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। শরীরের একাধিক হাড় ভেঙেও গিয়েছিল তাঁর। উড়ালপুলের উপরেই ছিটকে পড়েন অসীম। তাঁরও মাথার খুলিতে গুরুতর চোট লাগে। তবে হাসপাতালে ভরতির পরেও শেষরক্ষা হয়নি। বেসরকারি হাসপাতালেই শেষমেশ মৃত্যু হয় বিউটির। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় লিভার, কিডনি-সহ শরীরের একাধিক অঙ্গে গুরুতর চোট পান ওই গৃহবধূ। এদিকে, অসীমের শারীরিক অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
চিংড়িঘাটায় (Chingrighata) একের পর এক দুর্ঘটনায় দিনকয়েক আগেই মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটের দ্বন্দ্বে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। আর একজনেরও প্রাণহানি যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক প্রধানের ধমকের পরই নড়েচড়ে বসেন পুলিশকর্মীরা। চিংড়িঘাটায় বাড়ানো হয় পুলিশি নজরদারি। চিংড়িঘাটা ফুটওভার ব্রিজও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাধারণের জন্য চালু করা হবে বলেই জানিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তারই মাঝে এবার উদ্বেগ বাড়াল নাগেরবাজার ফ্লাইওভারের দুর্ঘটনা।