সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ধরে 'মোটা' বলে কটাক্ষ। সহকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করলেন এক মহিলার! এই ঘটনা বাংলাদেশের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। ওই মহিলার অভিযোগ, ব্যাঙ্কের একটি বিভাগের একটি ডিজিএমের নিয়মিত তাঁর পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করতেন। এমনকী তিনি যৌন হয়রানিরও শিকার হয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, 'মোটা' শব্দের ব্যবহার করলেও বাকি যা সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকায় রূপালী ব্যাঙ্ক লিমিটেডের একটি শাখায় কাজ করেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, তিনি স্থূলকায় হওয়ায় এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রায়ই লোকজনের সামনে তাঁকে মোটা বলে বিদ্রুপ করতেন। এমনকি ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ারও চেষ্টা করতেন। গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের একদিন তাঁকে ঘরে ডেকে এনে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি কোনওমতে সেখান বেরিয়ে আসেন। এবং তার পর জ্ঞান হারান।
[আরও পড়ুন: আনোয়ারুল খুনে অভিযুক্ত সিয়াম আটক নেপালে! কাঠমান্ডু গেলেন বাংলাদেশের তদন্তকারীরা]
গত ২ মে পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য, আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা নিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ মে ব্যাঙ্ক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
সংবাদমাধ্যমে ওই মহিলা জানিয়েছেন, রূপালী ব্যাঙ্কে তিনি যোগ দেন ২০১২ সালে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ওই ব্যাঙ্কের একটি শাখায় নতুন ডিজিএম যোগ দেওয়ার পর তিনি বারবার যৌন হয়রানির শিকার হন। এনিয়ে রূপালী ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক জানিয়েছেন, "বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।" এর মধ্যেই ব্যাঙ্কের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মহিলাকে মোটা বলে ডাকতে শোনা যায় অভিযুক্তকে।
এদিকে, ওই মহিলার সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, "আমি কোনও ধরনের কোনও অনৈতিক কিছু করিনি। একটাই ভুল করেছিলাম মোটা বলে। সে ক্ষেত্রেও আমার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না। কাজ করতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। ওই মহিলা যে গোপনে তা ভিডিও করছিলেন তা বুঝতে পারিনি। সেই ভিডিও তিনি পুরোও ব্যাঙ্কে ভাইরাল করে দিয়েছেন।" এখন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।