সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ে (Mumbai) চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ উঠল ৮ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শনিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাকি ৪ জন এখনও পলাতক। তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? লখনউ-মুম্বইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে আচমকাই উঠে আসে দুষ্কৃতীরা।
ট্রেনটি ইগতাপুরী নামের এক হল্ট স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। সেই সুযোগেই জোর করে ট্রেনের কামরায় ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। শুরু হয় লুঠতরাজ। অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে ছিনতাই করে ওই ৮ দুষ্কৃতী। যাত্রীরা জানিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের কাছে ধারাল অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ৫ জন যাত্রী সেই অস্ত্রের আঘাতে ঘায়েলও হয়।
[আরও পড়ুন: হিন্দুদের খুন করছে সন্ত্রাসবাদীরা! আবারও ভূস্বর্গ ছেড়ে পলায়ন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের]
এরপরই কামরায় থাকা এক তিরিশোর্ধ্ব মহিলার উপরে চড়াও হয় তারা। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তার উপরে যৌন নির্যাতন চালায়। একে একে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে তারা। ততক্ষণে ট্রেন কাসারা স্টেশনে পৌঁছতেই যাত্রীরা দ্রুত অ্যালার্ম চেন টেনে ধরে। দ্রুত সেখানে হাজির হয় জিআরপি। কাসারা স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। পরে গ্রেপ্তার হয় আরও দু’জন। বাকি অভিযুক্তরা এখনও গাঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হচ্ছে, এর আগেও তারা এই ধরনের অপরাধ করেছে কিনা কিংবা তাদের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কিনা।
প্রসঙ্গত, গোটা দেশেই নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। গত আগস্টে জাতীয় মহিলা কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের একটি তালিকায় দেখা গিয়েছিল, দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। যেখানে ২০২০ সালে ১৩ হাজার ৬১৮টি অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেখানে এবার প্রথম ৮ মাসেই অভিযোগ জমা পড়েছে ১৯ হাজার ৯৫৩টি। এর মধ্যে অন্যতম ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা।