সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গণধর্ষণের (Gangrape) পর বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা! এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল কাকদ্বীপে নামখানা থানার পাতিবুনিয়া গ্রামে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বধূর ভাসুর-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, ৯ তারিখ ভোর তিনটে নাগাদ ঘুম ভেঙে বারান্দায় শৌচকর্ম করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেইসময় চার-পাঁচজন এসে পিছন থেকে তাঁর মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করে। পরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে তাঁকে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা গিয়েছে, ঘর থেকে বধূর শ্বশুর বেরিয়ে আসতেই অভিযুক্তরা চম্পট দেয়। বরাতজোড়ে প্রাণে রক্ষা পান ওই বধূ। তবে এই ঘটনা নিয়ে কারোর কাছে মুখ খুললে নির্যাতিতার ছেলে এবং মেয়েকে খুন করে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এমনটাই দাবি নির্যাতিতার। এই ঘটনা যখন ঘটে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না নির্যাতিতার স্বামী। কর্মসূত্রে তিনি বিভুঁইয়ে থাকতেন। শনিবার স্বামী বাড়ি ফিরলে ঘটনার কথা জানান নির্যাতিতা।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় গ্রেপ্তারিতে কোনও রং দেখা হয় না’, হাঁসখালি কাণ্ডে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী]
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে চিনতে পেরেছিলেন। একজন তাঁর ভাসুর এবং অপরজন ভাসুরের বেয়াই। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। অভিযুক্তরা পেশায় মৎস্যজীবী। সোমবার নামখানা থানার পুলিশ অভিযুক্ত ভাসুর ও বেয়াইকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। এই ঘটনার পিছনে কোনও পারিবারিক বিবাদ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সূত্রে একাধিক ধর্ষণের খবর সামনে এসেছে। মাটিয়া, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরের পর রায়গঞ্জ, বোলপুর থেকেও ধর্ষণের খবর সামনে এসেছে। অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের শিকার হলেন বোলপুরের (Bolpur) এক আদিবাসী তরুণী। পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত নির্যাতিতা তরুণীর বাবার বন্ধু-সহ মোট দুজন। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।