সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার স্বীকারোক্তিতে বিস্মিত সকলে। আর এই দৃষ্টান্ত তুলে ধরেই এবার লিভ-ইন পার্টনারকে হুমকি দিল এক যুবক। ‘শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল। তোমায় কেটে ৭০ টুকরো করব।’ এভাবেই সঙ্গীকে ভয় দেখানো হল।
ঘটনা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ঢুলের। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম আর্শাদ সেলিম মালিক। ওই যুবতীর অভিযোগ, গত বছর জুলাই থেকে একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই আর্শাদ তাঁকে হেনস্তা করছিল। যুবকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ করলেই যুবতীকে হুমকি দেওয়া হত। আর সম্প্রতি শ্রদ্ধার ঘটনা শিরোনামে আসার পর তুলে ধরা হয় সেই উদাহরণ। তাঁকে ৭০ টুকরো করে খুনের হুমকি দেয় আর্শাদ। ভয়ে শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুবতী। গত ২৯ নভেম্বর নিজের লিভ-ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হেনস্তার হাত থেকে বাঁচিয়ে ‘হিরো’, ২ ভারতীয় যুবকের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে তরুণী ইউটিউবার]
যুবতী জানান, বছর কয়েক আগে তাঁর অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে এক পছদুর্ঘটনায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মহিলার এক সন্তানও আছে। স্বামীর মৃত্যুর পর আর্শাদের সঙ্গে পরিচয় হয় যুবতীর। তবে প্রথমে সে নিজের নাম হর্ষল মালি বলেছিল। যুবতীর অভিযোগ, ঢুলের কাছে এক গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ‘হর্ষল’। সেই ঘটনার ভিডিও করে রাখে অভিযুক্ত। হুমকি দেয়, মুখ খুললেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে সেই ভিডিও। এরপর তাঁরা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ধীরে ধীরে যুবতী জানতে পারেন, হর্ষলের আসল নাম আর্শাদ। পরবর্তীতে তাঁদের সন্তানও হয়।
নির্যাতিতা পুলিশকে আরও জানান, জোর করে তাঁর ধর্মান্তকরণও করা হয়। সেই সঙ্গে চলে নির্মম অত্যাচার। তাঁর শরীরে ছেঁকা দেওয়া হত। তাঁর প্রথম সন্তানকেও ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করে আর্শাদ। এমনকী আর্শাদের বাবার বিরুদ্ধেও হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন যুবতী। তবে শ্রদ্ধার উদাহরণ টেনে হুমকি দেওয়ার পরই ভয়ে থানায় যান যুবতী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।