সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী বধূ। খবর পেয়েই শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল প্রয়াত বধূর বাপের বাড়ির লোকজন। সেই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মৃত্যু হল বধূর শ্বশুর-শাশুড়ির। গুরুতর আহত হলেন বধূর স্বামী।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে। জানা গিয়েছে, সোমবার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অংশিকা কেশরওয়ানির ঝুলন্ত দেহ। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয়েছিল ২৭ বছরের অংশিকার। মৃত্যুর খবর পেয়েই শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে পণের দাবিতে লাগাতার অত্যাচার চালানো হয়েছে অংশিকার উপর। সেই জন্যই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন অংশিকা। এহেন অভিযোগের পালটা সুর চড়ায় অংশিকার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও।
[আরও পড়ুন: কথা রাখেনি মোদি সরকার, ২১ দিনের অনশনে ‘র্যাঞ্চো’ ওয়াংচুক]
সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ অংশিকার মৃত্যুর খবর যায় পুলিশের কাছে। তার পর দুপক্ষের ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে অংশিকার শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দমকল। অবশেষে রাত তিনটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে অংশিকার শ্বশুর ও শাশুড়ির। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অংশিকার স্বামী-সহ তিনজনকে। আরও দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রয়াগরাজ সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীপক ভুকের জানান, “এক মহিলার আত্মঘাতী হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেই সময়ে তর্কাতর্কির মধ্যেই আচমকা আগুন ধরিয়ে দেয় মহিলার বাপের বাড়ির সদস্যরা। পুলিশ পাঁচজনকে উদ্ধার করে দমকলকে খবর দেয়। কিন্তু তার আগেই পুড়ে মৃত্যু হয় রাজেন্দ্র কেশরওয়ানি ও শোভা দেবীর।” গোটা ঘটনায় কারোওর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।