সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও তাঁর টেডি বিয়ার চাই কখনও আবার দামী পারফিউম। কখনও মোটা অঙ্কের নেকলেস তো কখনও হীরের আংটি। প্রেমিকার বায়নাক্কায় বিরক্ত হয়ে 'ব্রেক আপ' করে নিয়েছিলেন যুবক। আর এই বিচ্ছেদের পরই অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন তিনি। যার জেরে তাঁর ঠাঁই হল শ্রীঘরে। কী এমন করেছিলেন ওই যুবক?

বিচ্ছেদের বদলা নিতে কেউ প্রেমিকার মুখে অ্যাসিড ছোড়ে। কেউ ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল করে দেন। কেউ কেউ ঘনিষ্ঠ মহলে নিন্দা করে বেরন। কিন্তু এই প্রেমিক এসমস্ত পথে হাঁটেননি। বরং প্রেমিকার অফিসের ঠিকানায় পাঠিয়েছিলেন ৩০০টি উপহার। তাও আবার ক্যাশ অন ডেলিভারি করে। অর্থাৎ, ব্যাংক কর্মী প্রেমিকাকে টাকা দিয়ে সেই উপহার সংগ্রহ করতে হত। প্রথম প্রথম বিষয়টি বুঝতে পারেননি। মনে করছিলেন, কেউ মজা করছে। পরে সংখ্যাটা বাড়তে থাকায় বিরক্ত হয়ে যান তিনি। ডেলিভারি বয়দের বারবার জানান, উপহার নিতে পারবেন না কারণ সেগুলি তিনি অর্ডারই করেননি। অনলাইন অর্ডার ফেরত দেওয়ার জন্য একাধিক অনলাইন শপিং সাইটে মেয়েটির অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবতী।
জানা যায়, নদিয়ার বাসিন্দা সুমন শিকদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল লেকটাউনের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মীর। কিন্তু গত নভেম্বরে সম্পর্ক ভেঙে যায়। কারণ, দামি উপহার চাওয়া। প্রেমিকের কাছে দামি উপহার চাইতেন ব্যাংক কর্মী। কিন্তু তা দিতে অক্ষম ছিলেন সুমন। তাই সম্পর্ক ভেঙে যায়। সেই বদলা নিতেই ব্রেক আপের পর প্রেমিকার ঠিকানায় উপহার পাঠাতেন। নদিয়া থেকে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ। যদিও শুক্রবার আদালতে তোলার পর জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি।