মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: পথ দুর্ঘটনায় (Accident) মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দীপা এলাকা। উত্তেজিত জনতা ঘাতক গাড়িটিতে লাগিয়ে দেয় আগুন। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। এছাড়া গাছের গুঁড়ি ফেলে করা হয় পথ অবরোধ। পরে জগৎবল্লভপুর (Jagatballavpur) থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জগৎবল্লভপুরের নলদা এলাকার বাসিন্দা মুর্শিদা বেগম সোমবার বিকেলে স্বামী শেখ সিরাজের সঙ্গে আমতা বসন্তপুর এলাকায় মায়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁরা আমতা মুন্সিরহাট রোড ধরে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। দীপা এলাকায় উলটো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাদের বাইকের। রাস্তার পাশে ছিটকে পড়েন সিরাজ। আর রাস্তার উপরে পড়ে যান মুর্শিদা। তাঁর উপর দিয়ে চলে যায় লরিটি। রাস্তায় পিষে যান মুর্শিদা। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সিরাজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা গাড়িটিকে ধাওয়া করে কিছুটা দূরেই ধরে ফেলে। এবং তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গোটা লরিতে (Lorry) আগুন ধরে যায়।
[আরও পড়ুন: নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিম্নমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, বাড়ল সুস্থতার হার]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। এছাড়া এলাকার লোকেরা রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ শুরু করে। তাঁদের দাবি, এই এলাকায় অতিরিক্ত পণ্য বহনকারী লরি দ্রুতগতিতে যাতায়াত করে। নেই পুলিশের নজরদারি। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মহম্মদ ইব্রাহিম গোরা। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী প্রশাসন যাতে ব্যবস্থা নেয় সে বিষয়ে পুলিশের (Police) সঙ্গে কথা বলবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।