সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু-চারবার নয়, অন্তত ১৪ বার সঙ্গিনীকে গর্ভপাত করতে জোর করেছেন লিভ-ইন পার্টনার। আর সেই অবসাদেই আত্মঘাতী হলেন ৩৩ বছরের যুবতী। এমন অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রইল রাজধানী দিল্লি (New Delhi)।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৫ জুলাই দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জেতপুর এলাকায় আত্মঘাতী হন ওই যুবতী। তাঁর বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, সুইসাইড নোটেই এমন অমানবিক ঘটনার কথা উল্লেখ ছিল। যুবতী জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যুবতীর সঙ্গে দিনের পর দিন সঙ্গমে জড়ান তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘এত কথা হচ্ছে কেন?’, লাগাতার কোহলির সমালোচনা শুনে ‘বিরক্ত’ রোহিত]
যৌন মিলনের জেরে ১৪ বার অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয়। একাধিকবার তাঁকে বিয়ে করতে বলেন যুবতী। কিন্তু কোনওবারই তা কানে তোলেননি তিনি। সুইসাইড নোটে যুবতী লেখেন, এমন পরিস্থিতিতে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া তাঁর কাছে আর কোনও উপায় ছিল না। ৫ তারিখ একটি ফোন বুথ থেকে ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে যুবতীর বাড়িতে ছুটে যায় পুলিশ। গিয়ে দেখে, সিলিং থেকে ঝুলতে তাঁর দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার করে দ্রুত তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর যুবতীর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সুইসাইড নোটের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত একটি সফটওয়্যার সংস্থার কর্মী। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, এর আগে যুবতীর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু গত ৭-৮ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে আলাদাই থাকতেন। তবে ১৪ বার জোর করে গর্ভপাত করতে বলায় আর বাঁচতে চাননি তিনি।