সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিবকে বিয়ে কর আদতে লখনউয়ের মহিলা। কিন্তু পড়ে আছেন চিন-ভারত সীমান্তের কাছে নভিধাং বলে এক জায়গায়, যেখানে সাধারণের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত। বেআইনিভাবে বসবাস করা হরমিন্দর কৌর নামে ওই মহিলাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওখান থেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল পুলিশের একটি দলকে। কেননা হরমিন্দর নভিধাং ছাড়তে চান না। নিজেকে দেবী পার্বতী বলে দাবি করে কৈলাস পর্বতের বাসিন্দা ভগবান শিবকে বিয়ে করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
হরমিন্দর নাকি পুলিশকর্মীদের হুমকি দেন, তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন, জানিয়েছেন পুলিশ সুপার লোকেন্দ্র সিং। তবে লোকেন্দ্র বলেছেন, “আমরা ঠিক করেছি, আরও বড় টিম পাঠিয়ে তাঁকে প্রয়োজনে জোর করেই ধরচুলায় নামিয়ে আনব।
[আরও পড়ুন: ছেড়েছেন বহুজাতিক সংস্থার চাকরি, গো হত্যা বন্ধের বার্তা দিতে হেঁটে গোটা দেশ ঘুরছেন যুবক]
পুলিশ সুপার বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা গুঞ্জি গিয়েছিলেন মায়ের সঙ্গে। ধরচুলার এসডিএমের থেকে ১৫ দিনের যাত্রার অনুমতি পেয়েছিলেন। কিন্তু ২৫ মে অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সেখান থেকে চলে আসতে রাজি হননি।
কৈলাস-মানসরোবর যাওয়ার রাস্তায় পড়ে গুঞ্জি। দু’জন সাব ইনস্পেক্টর, একজন ইনস্পেক্টর- তিনজন পুলিশকর্মীর টিম পাঠানো হয়েছিল ধরচুলা থেকে। কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। এবার ওই মহিলাকে নিয়ে আসার জন্য ১২ সদস্যের বড় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে চিকিৎসাকর্মীদেরও রাখা হবে। পুলিশের দাবি, হরমিন্দরের মানসিক ভারসাম্য সম্ভবত ঠিক নেই। যেভাবে তিনি নিজেকে পুনর্জন্ম হওয়া পার্বতী পরিচয় দিয়ে শিবকে বিয়ে করবেন বলে নাছোড়, তাতে এমন ধারণাই হয়েছে তাঁদের।