সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসেই জন্ম দিয়েছিলেন যমজ সন্তানের। কিন্তু প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে রক্ত দিতে হয়েছিল সারদা নামের ওই মহিলাকে। সেসময় নাকি তাঁকে অন্য ব্লাড গ্রুপের রক্ত দিয়েছিল হাসপাতাল। তার পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সারদার। প্রায় এক মাস হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বিজয়পুরায়।
জানা গিয়েছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়পুরা জেলা হাসাপাতালে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন দাদামত্তি গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩১-এর সারদা। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে সেদিনই তাঁকে রক্ত দিতে হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সারদার ব্লাড গ্রুপ ছিল এ পজিটিভ। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত। তার পরই শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয় সারদার। তাঁকে সেখান থেকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই এতদিন চিকিৎসা চলছিল সারদার। কিন্তু মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘ছক করে কংগ্রেসকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছেন মোদি’, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে তোপ সোনিয়া-খাড়গের]
এনিয়ে বিজয়পুরা জেলার এক চিকিৎসক শ্রীভানন্দ মস্তিহোলি জানিয়েছেন, সারদাকে ভুল রক্ত দেওয়ার বিষয়টি সত্যি। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই ঘটনার একটি রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, “সারদার রক্তাল্পতার সমস্যাও ছিল। বিজয়পুরা হাসপাতালে রক্তের গণ্ডগোলের পর চার সপ্তাহ আগে তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তাঁর নিউমোনিয়া ও করোনার উপসর্গ ছিল। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন সারদা। আমরা আয়ুষ্মান স্কিমের আওতায় তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছিলাম।” যদিও এখনও পর্যন্ত সারদার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।