অর্ণব আইচ: পুত্র ও পুত্রবধূর জ্বালায় প্রতিবেশীর কাছে ভরসা করে দলিল ও গয়না জমা রেখেছিলেন এক প্রৌঢ়া। দিন সাতেক পর দলিলের ফেরত পেলেও প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উধাও সোনা ও রুপোর গয়না। নিরুপায় হয়ে সেই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধেই দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন ওই প্রৌঢ়া।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই প্রৌঢ়ার বাড়ি দক্ষিণ বন্দর এলাকার কার্ল মার্কস সরণিতে। একবালপুরে প্রৌঢ়ার একটি সোনার গয়নার দোকান আছে। মায়ের সঙ্গে প্রায়ই গোলমাল বাধে ছেলে ও পুত্রবধূর। অভিযোগ, ছেলে প্রায়ই মায়ের কাছে সম্পত্তির খতিয়ান চায়। পুত্রবধূর নজর তাঁর গয়নার উপর। বাড়ির লোকের হাত থেকে সম্পত্তি বাঁচাতে তিনি শরণাপন্ন হয়েছিলেন প্রতিবেশীর কাছে। ভরসা করেছিলেন বহুদিনের চেনা প্রতিবেশীকে। বিহারে তাঁর জমির দলিল, ঘরের চুক্তিপত্র, দোকানের কাগজপত্র ও তার সঙ্গে লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না দু’টি বাক্সে ভরে রাখেন। দু’টি বাক্স একটি ব্যাগে নিয়ে ব্যাগটি প্রতিবেশীকে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। প্রতিবেশী তাতে সাড়া দিয়ে তাঁদের আলমারিতে সেগুলি রেখে দেন।
উচ্চমাধ্যমিকের প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল স্ক্যানার, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত সংসদের
দিন সাতেক পর ছেলে ও পুত্রবধূকে এড়িয়ে বাক্স দু’টি নিজের কাছে নিয়ে আসেন ওই প্রৌঢ়া। বাক্স খুলে দেখা যায়, দলিল ও কাগজপত্র অটুট। কিন্তু সারা জীবন ধরে জমানো গয়না পুরোপুরি গায়েব। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে যান প্রতিবেশীর বাড়িতে। কিন্তু প্রতিবেশী জানান, গয়নাগাঁটির কথা তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউই জানেন না। কীভাবে তা লোপাট হয়েছে, সে বিষয়ে অন্ধকারে তাঁরা। প্রৌঢ়ার তোলা চুরির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এরপরই প্রৌঢ়া ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে দক্ষিণ বন্দর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
রাস্তায় পড়াশোনা করে স্কুল পেরিয়ে কলেজে, ছাত্রীর পাশে থাকার বার্তা পার্থর
এদিকে, হাইড রোডের গুদাম থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাঙ্ক চুরি করে পালাল দুষ্কৃতী। বুধবার গুদামের কর্মীরা গেট খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে দুষ্কৃতীরা। ৬৬টি মোবাইল ও ১০৯ টি পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে চম্পট দিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
The post ঝামেলা করে ছেলে, ভরসা করে প্রতিবেশীর কাছে গয়না রেখে খোয়ালেন প্রৌঢ়া appeared first on Sangbad Pratidin.