অর্ণব আইচ: এক পথশিশুকে (Child) ‘জুতোপেটা’ করার অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল এক মহিলার দিকে। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। যদিও বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। ওই মহিলার ‘কুকীর্তি’র ছবিও তোলেন কয়েকজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবিও।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রত্যেকদিনই গড়িয়াহাটের মোড় ও তার সংলগ্ন এলাকায় কিছু পথশিশু ধূপ বিক্রি করে। তাদের নজর থাকে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ানো গাড়ির দিকে। অনেক সময়ই বাতানুকূল গাড়ির কাঁচে টোকা দিয়ে জিনিস বিক্রি করার চেষ্টা করে তারা। সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ এভাবেই একটি গাড়ির কাঁচে টোকা দিয়েছিল ধূপ বিক্রেতা এক পথশিশু। সেই গাড়িতে ছিলেন ওই মহিলা। শিশুটি ক্রমাগত কাঁচে টোকা দিয়ে দশ টাকার বিনিময়ে তার কাছ থেকে ধূপ কেনার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। ধূপ কেনা তো দূরে থাক,জানলার কাঁচ নামিয়ে ওই মহিলা পালটা তাকে বকাবকি করেন। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সেইসময় ওই শিশুটিও তাঁকে কটূক্তি করে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গোলমাল ঘিরে গাড়ির ভিতর থেকে নেমে আসেন ওই মহিলা। তিনি জুতো খুলে শিশুটির গালে কয়েকবার মারেন। শিশুটি চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। ঘটনাটি ঘটতে দেখে কিছু পথচারী ও এলাকার ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন। তাঁরা এই মারধরের প্রতিবাদ জানান। ঘটনাটি ঘিরে গোলমাল শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে কলকাতায় অস্ত্র পাচার, ছদ্মবেশে হানা দিয়ে দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করলেন STF গোয়েন্দারা]
ট্রাফিক পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এক ট্রাফিক সার্জেন্ট রাস্তায় ভিড় হতে দেখে সেখানে আসেন। রাস্তা ফাঁকা করতে বলে ওই মহিলা ও শিশুটিকে গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে যান। আরও কয়েকজন পথচারীও থানায় যান। তাঁরাও থানায় ঢুকে ওই উচ্চবিত্ত মহিলার আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাঁর শাস্তির দাবি করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর ওই মহিলা পুলিশকে জানান, শিশুটি তাঁকে ‘গালিগালাজ’ করেছিল। তাতেই তিনি রেগে যান। শিশুটি থানার ভিতরে ঢুকেও কাঁদছিল। শেষ পর্যন্ত মহিলা পুলিশ ও অন্যদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। দুই পক্ষই বিষয়টি মিটমাট করে নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।