সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন সহপাঠী-সহ চারজনের যৌন লালসার শিকার এক বধূ। তাঁকে গণধর্ষণ (Gangrape) করা হয় বলেই অভিযোগ। ধর্ষণের সময় ভিডিও করা হয়। আর ওই ভিডিও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে পাঠানোও হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের মথুরায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
নির্যাতিতা একটি অঙ্গনওয়াড়িতে কাজ করেন। তাঁর দাবি, বাড়িতে কম্পিউটার নেই। অথচ অনলাইনে একটি ফর্ম ফিল আপ করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তাই গত ২৮ মে সেই কাজ সারতেই বেরিয়েছিলেন। সেই সময় চারজন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে বলেই অভিযোগ। এরপর বাড়ি ফিরে যান মহিলা। কাউকে কিছুই জানাননি তিনি। তবে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে গণধর্ষণের ভিডিও পাঠানো হয়। তাতেই বিষয়টি জানাজানি হয়।
[আরও পড়ুন: বাহিনীর জওয়ানদের মানসিক পরিস্থিতির কাউন্সেলিং করাক কেন্দ্র, পরামর্শ বিজেপি বিধায়কেরই]
এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার বন্দোবস্ত করে। পুলিশ সূত্রে খবর, গণধর্ষণের প্রমাণ মেলে। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। চারজন অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলিগড়ে বাপের বাড়ি নির্যাতিতার। গণধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ওই বধূর বাপের বাড়ির কাছাকাছি এলাকারই বাসিন্দা। মূল অভিযুক্তের প্রাক্তন সহপাঠী ছিলেন বধূ। সেই সময় কোনও পুরনো শক্রুতা ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবক কখনও তাঁকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিল কিনা, তাও জানা যায়নি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে সমস্ত তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।