সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহবাস সংক্রান্ত মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলে, কোনও মহিলা যদি স্বেচ্ছায় কোনও পুরুষের সঙ্গে সহবাস করেন, সেক্ষেত্রে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে গেলে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে পারেন না।
এদিন সহবাস সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিক্রম নাথের বেঞ্চ। রাজস্থানের আনসার মহম্মদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেন এক মহিলা। অভিযোগ, বছর চারেক আগে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও হয়। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি মহম্মদ। ১৯ মে রাজস্থান হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন অভিযুক্ত। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। রায়ে রাজস্থান হাই কোর্ট বলে, “বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলাকারীর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হয়েছেন অভিযুক্ত। তাই বিষয়টির গুরুত্ব মাথায় রেখে এক্ষেত্রে আগাম জামিন মঞ্জুর করা যাবে না।” তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীর শিবলিঙ্গে প্রার্থনার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কৃষ্ণভক্ত সংগঠন]
এদিন, শুনানির পর অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। রায়ে বলা হয়, “অভিযোগকারী মহিলা স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাই এখন সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সময় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) (এন) ধারায় এফআইআর দায়ের করার ভিত্তি হতে পারে না। তবে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, এই পর্যবেক্ষণ কেবল মাত্র জামিনের শুনানির জন্য। তদন্ত যেমন চলছে তেমনই চলবে। এই নির্দেশ শুধু আগাম জামিন সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচার্পতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে থাকেন ভালবাসার খাতিরে। অনেক সময় আকর্ষণ এবং ভালবাসার টানেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। তাই, পরবর্তীকালে পুরুষসঙ্গী বিয়ে করতে না পারলে শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে চালানো যাবে না। তাই কোনওভাবেই পুরুষসঙ্গীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করা যাবে না। এই ধরনেক ঘটনাকে শুধু বিয়ের প্রতিশ্রুতিভঙ্গ বলা যেতে পারে।