ধীমান রায়, কাটোয়া: একসঙ্গে রাস্তা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। সেই সুবাদে কাজ শেষে সন্ধেয় গ্রামের রাস্তার ধারে বসে এক পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করছিলেন আদিবাসী মহিলা। যা স্থানীয় যুবকদের চোখে পড়তেই নৃশংসতার শিকার হতে হল ওই মহিলা ও তাঁর সহকর্মীকে। অভিযোগ, ক্লাবে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় তাঁদের। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার (Bhatar) থানার ওড়গ্রামের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়গ্রামের তিরকেপাড়ের বাসিন্দা বছর ত্রিশের ওই মহিলা ঠিকাদারের অধীনে রাস্তা নির্মাণের কাজ করেন। তার সঙ্গেই কাজ করেন মঙ্গলকোটের জালপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি। মহিলার কথায়, তিনি ও জালপাড়ার বাসিন্দা তাঁর ওই সহকর্মী বাড়ির কাছাকাছি একটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তখন তাঁর প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক এসে দুজনকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তিরকেপাড়ের একটি ক্লাবঘরে। সহকর্মীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এই অপবাদ দিয়ে মহিলা ও ওই ব্যাক্তিকে সারারাত বেঁধে রাখা হয় ক্লাবে। চলে মারধর।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে অস্বস্তিকর গরম থেকে মিলবে মুক্তি? জেনে নিন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস]
মহিলা জানান, পরেরদিন দুপুর পর্যন্ত একইভাবে তাঁদের ক্লাবে আটকে রাখা হয়। তারপর খবর পৌঁছয় ২ জনের বাড়িতে। অভিযোগ, এরপর অভিযুক্ত যুবকরা জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করে। নির্যাতিতার কথায়, “ওরা আমাদের দু’জনকেই মারধর করে জরিমানা আদায় করেছে। অশালীন আচরণ করেছে। কোনওভাবেই তখন পুলিশকে জানাতে পারিনি।” জানা গিয়েছে, জরিমানা দিয়ে কোনওরকম ওই ২ জনকে উদ্ধার করে পরিবার। এরপরই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রবিবার মহিলা নিজেই ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম সোমনাথ হাঁসদা, মঙ্গলদেব সোরেন,মঙ্গল হাঁসদা এবং সনাতন হাঁসদা। সোমবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে তাদের।
ছবি: জয়ন্ত দাস