সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই মহিলা ফুটবলারকে হেনস্তার অভিযোগ উঠল ফেডারেশন কর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণীদের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের ঘরে ঢুকে হেনস্তা করেছেন ওই এআইএফএফ কর্তা। ফেডারেশনে জানানোর পর অভিযোগ তুলে নিতেও অভিযোগকারিণীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে দীপক শর্মার বিরুদ্ধে। হিমাচল প্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ছাড়াও ফেডারেশনের (AIFF) এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য তিনি। খাদ এফসি নামে একটি ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই দলের দুই মহিলা ফুটবলার হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, খেলার জন্য গোয়ায় গিয়েছিল গোটা দল। সেই সময়ই হেনস্তা করেছেন ফেডারেশন কর্তা।
[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]
এক অভিযোগকারিণী জানান, রাত এগারোটা নাগাদ দীপক তাঁদের ডেকে পাঠান। নিজের ঘরে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। ঘরে ডেকে দুই মহিলা ফুটবলারকে বকাবকি করেন। কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরে আসেন অভিযোগকারিণী ও তাঁর সতীর্থ। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকে আসেন দীপকও। ঘরে এসে অভিযোগকারিণীকে শারীরিক নির্যাতন করেন তিনি। তবে সতীর্থ বাধা দেওয়ায় ঘর থেকে চলে যেতে বাধ্য হন দীপক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরে শুক্রবারই ফেডারেশনে অভিযোগ জানান দুই মহিলা ফুটবলার। অভিযোগ পেয়ে শুরু হয় তদন্ত। দীপককে নির্দেশ দেওয়া হয়, মহিলা ফুটবলারদের কোনও ক্ষতি করবেন না বলে চিঠি দিতে হবে।
কিন্তু তদন্ত শুরু হতেই দুই অভিযোগকারিণীকে কার্যত হুমকি দেন দীপকের স্ত্রী নন্দিতা। খাদ এফসির ম্যানেজার তিনি। দীপকের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। রীতিমতো চাপ দেওয়া হয় দুই ফুটবলারকে। লাগাতার হুমকিতে ভীত হয়ে পড়েছেন অভিযোগকারিণী। তবে দীপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেননি তাঁরা। ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এক্স হ্যান্ডেলে এআইএফএফ-কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন। হেনস্তার অভিযোগে প্রথমে গোয়া পুলিশ থানায় ডেকে পাঠায় দীপককে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও ফেডারেশনের তরফে এখনও গোটা বিষয় নিয়ে কিছুই বলা হয়নি।