গোবিন্দ রায়: পরীক্ষা দেওয়ার ৯ বছর পর শেষ হল অপেক্ষা। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন উত্তর ২৪ পরগনার অম্বিকা দাশ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে ওই পরীক্ষার্থীকে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালে। ওই বছর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১২ সালে পরীক্ষা হয়। ইন্টারভিউ হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় প্যানেল। অম্বিকাদেবী চাকরির বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন, কিন্তু প্যানেল প্রকাশ্যে আসতে দেখেন নিজের নাম নেই। এরপরই আরটিআই করেন অম্বিকা। দেখা যায় প্যানেলের শেষের পরীক্ষার্থীর চেয়ে দ্বিগুন নম্বর পেয়েছেন তিনি। এরপরই হাই কোর্টের দারস্থ হন ওই চাকরিপ্রার্থী।
[আরও পড়ুন: ‘চাইলেই বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা যায় না’, জীবনকৃষ্ণের গ্রেপ্তারিতে সিবিআইকে তোপ বিধানসভার স্পিকারের]
বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে মামলাটি। সেখানেই গোটা বিষয়টা বিবেচনা করে বিচারপতি জানান, অম্বিকা দাশ গঙ্গোপাধ্যায় যোগ্য। সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার DPSC’কে নির্দেশ দেন, যাতে অম্বিকাকে দ্রুত নিয়োগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে অত্যন্ত খুশি ওই চাকরিপ্রার্থী। কতদিনে নিয়োগপত্র হাতে পান, সেই দিকেই তাকিয়ে তিনি। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও চাকরির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেক প্রার্থী। রাজ্যের মন্ত্রীর পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগ ভুয়ো বলে প্রমাণ করে সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। যদিও পরবর্তীতে তাঁর চাকরির যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।