সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে সমকামী প্রেম বা বিয়ে করা অকল্পনীয়। অথচ এই কাণ্ডই ঘটালেন দুই তরুণী। ফেসবুকের আলাপ গড়িয়েছে প্রণয়ে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তাঁরা না কি বিয়েও করে ফেলেছেন। আপাতত ঢাকায় একসঙ্গে থাকছেন ওই দুই তরুণী। যা নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে টাঙ্গাইল জেলার মেয়ে আঁখি আর নোয়াখালির মেয়ে বিলকিস। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁদের আলাপ। এরপর পার্কে দেখাসাক্ষাৎ হত বিলকিস ও আঁখির। ফেসবুকের আলাপ পেরিয়ে বন্ধুত্ব। তার পর প্রেম-ভালবাসা। অবশেষে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। ভালোবাসার টানে নোয়াখালি থেকে টাঙ্গাইলে আঁখির কাছে ছুটে চলে এসেছেন বিলকিস। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ড: ‘আমি ব্যথিত, আপনার মন্তব্য তদন্তেও প্রভাব ফেলতে পারে’, রাজ্যপালকে জবাব মমতার]
টাঙ্গাইলের মেয়ে আঁখি বলেন, “ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিলকিসের সঙ্গে আমার কথা হয়। তারপর আমরা ঢাকায় দেখা করি। এবং দুজন ঢাকাতে একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করি।” স্বাভাবিকভাবে এই সমকামী প্রেমের সম্পর্কে রাজি ছিল না দুই পরিবার। দুজনকে আলাদা করার নানান ছল করেছিল তাঁরা। কিন্তু ধোপে টেকেনি সেই চেষ্টা। এ প্রসঙ্গে আঁখি বলেন, “পরিবার আমাদের আলাদা করে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে আমি ওর নম্বরে ফোন করে আমরা আবার কথা বলি।” আঁখির সাফ কথা, “আমি ওঁকে ছাড়া বাঁচব না। মরলে একসঙ্গে মরব এবং বাঁচলে একসঙ্গে বাঁচব।” নোয়াখালির বিলকিসও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। বলেন, “ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় দু’বছর আগে আমাদের কথা হয়। পরে ঢাকায় চাকরি নিয়ে আমরা একসঙ্গে থাকি। এবং আমরা এক সাথেই থাকতে চাই।”
[আরও পড়ুন: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে বিজেপি, মিলল মামলা দায়েরের অনুমতি]
যদিও আঁখির মা বলছেন, “আমার মেয়েকে আমার কাছে রাখতে চাই। আমি ওই মেয়ের কাছে যেতে দিতে চাই না।” এলাকাবাসী বলছে, “মেয়ের সাথে মেয়ের বিয়ে আমরা কখনও দেখিনি। এগুলো ইউরোপের দেশে হয়। শুনেছি, ওরা এক-দেড় মাস আগে বিয়েও করেছে। এগুলো সত্যিই কখনও আমরা কল্পনাও করিনি। বাংলাদেশেও এমন কিছু হবে আমরা কখনও ভাবিনি।” বাংলাদেশের মতো একটি রক্ষণশীল দেশে সমকামীতা নিষিদ্ধ। যদিও কিছু সংগঠন সমকামিতাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।