অর্ণব আইচ: বেনজির ছবি এজলাসে! আদালত কক্ষে উঠেছিল 'জাস্টিস' স্লোগান। শুনানি শেষ হয়ে গেলেও সন্দীপ ঘোষকে(Sandip Ghosh) ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন মহিলা আইনজীবীরা। পরিস্থিতি সামলাতে চেয়ার থেকে উঠে বিচারককে অনুরোধ করতে হয়, "আইন হাতে তুলে নেবেন না। ওঁর ক্ষতি করবেন না।" এর পরই বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে আদালতে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। দোতলা থেকে দৌড়ে এসে সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন তিনি। দৌড়েও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে লক্ষ করে ছোড়া হয় জুতাে। সেই গাড়ি ঘিরে এখনও চলছে মহিলা আইনজীবীদের বিক্ষোভ।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় সন্দীপ ঘোষ, বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা এবং আফসার আলিকে। তাঁদের আদালতে আনার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। স্লোগান ওঠে 'জাস্টিস ফর আর জি কর।' কেউ কেউ সন্দীপের ফাঁসির দাবিও জানায়। শুনানির পাশাপাশি স্লোগানও চলতে থাকে। আদালত চারজনকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার, সিন্ডিকেট! ৫১ ডাক্তারকে ‘অকর্মণ্য’ করার সিদ্ধান্ত আর জি কর কর্তৃপক্ষের]
শুনানি শেষের পর কোর্ট রুমের বাইরে আইনজীবীরা জড়ো হয়ে সন্দীপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। আদালত কক্ষ থেকে সন্দীপকে বেরতে দিচ্ছিলেন না। শেষপর্যন্ত বিচারককে উঠে এসে আবেদন করতে হয়। তাতেও কাজ হয়নি। আইনজীবীরা সাফ জানিয়ে দেন, "আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। কিন্তু বিক্ষোভ চলবে।"
শেষে বিক্ষোভকারীদের থেকে বাঁচতে সন্দীপকে ছুটে দোতলা থেকে নামতে হয়। তাতেও লাভ হয়নি। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে জুতো। গাড়িতে উঠে যাওয়ার পরও সন্দীপকে লক্ষ্য করে জুতো দেখাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আলিপুর আদালত চত্বরে ওই গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলছে।