সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মোদির দেখানো অস্ত্রেই মোদি বধ করার রণকৌশল নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেস (Congress) শীর্ষনেতাকে আক্রমণে নানা রকমের ‘কৌশল’ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কখনও তাঁর গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে পাপ্পু তকমা। কখনও আবার কংগ্রেসকে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি নিয়ে আক্রমণে দেখানো হয়েছে ‘যুবরাজ’ হিসাবে। একটা বড় সময় আবার রাহুলের (Rahul Gandhi) নাম মুখেই আনেননি মোদি। যেন কোনও গুরুত্বই দেওয়ার প্রয়োজন নেই কংগ্রেস নেতাকে। মোদির হয়ে সেই কাজগুলি করতেন বিজেপির তুলনামূলক ছোট নেতারা। এবার ঠিক সেই পথেই হাঁটা শুরু করেছেন রাহুল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, এভাবেই মোদিকে (Narendra Modi) গুরুত্ব না দিয়ে তাঁকে ও বিজেপিকে হতচকিত করে দিতে চাইছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। কয়েকমাস আগে পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যমে প্রতিদিন নিয়ম করে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতেন রাহুল। বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতা বা চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত ইত্যাদি, বাদ যেত না কোনও ইস্যু। কেন তাদের অন্যতম শীর্ষনেতা এভাবে সব বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছেন, এক সময় কংগ্রেসের অন্দরেও এই নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: পোশাক নিয়ে মহিলাদের অসম্মান, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাইলেন রামদেব]
২৪ আকবর রোড সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই গুঞ্জন ভারত জোড়ো (Bharat Jodo) যাত্রা চলাকালীন গিয়েছে রাহুলের কাছে। তিনি যখন শিবিরে অন্যান্য সহযাত্রীদের সঙ্গে গল্প করেন, সেই সময়ই নাকি কয়েকজন রাহুলকে এই কথা জানান। এরপর ঘনিষ্ট দু’-একজনের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেন রাহুল গান্ধী। তারপরই নয়া স্ট্র্যাটেজি নেন। জনসভা বা সাংবাদিক সম্মেলনে মাঝেমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন ঠিক, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটা লাগাম টেনেছেন রাহুল। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল লক্ষ্য করলেই পরিস্কার হয়ে যাবে বিষয়টি। দীপাবলির পর থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনটি টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জিতবে’, আদালতে ঢোকার আগেও আত্মবিশ্বাসী পার্থ]
২৭ অক্টোবর কাশ্মীরে পন্ডিতদের টার্গেট কিলিং, ২৯ অক্টোবর কর্নাটকের সরকারের দুর্নীতি, ৭ নভেম্বর নোটবন্দির বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু কোনওটিতেই তাঁর নাম নেননি। নোটবন্দিতে ‘রাজা’, বাকি দুই ক্ষেত্রে ‘পিএম’ বলে আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেসের এক জনপ্রিয় নেতার বক্তব্য, “উনি খুব অ্যাটেনশন সিকার। প্রচারে থাকতে ভালবাসেন। এভাবেই
ওঁকে গুরুত্ব না দিয়েই পাগল করে দেবেন রাহুলজি।”