সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব থেকে বিতর্কিত আফস্পা আইন প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার অসমের কার্বি আংলংয় জেলার ডিফুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে হিংসার ঘটনা অনেকটাই কমে গিয়েছে তাই আফস্পা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ছেলের জামিন চাইতে আসা মহিলাকে দিয়ে ম্যাসাজ করালেন পুলিশ অফিসার! ভিডিও ঘিরে বিতর্ক]
এদিন ডিফুতে তিনটি কলেজের উদ্বোধন কয়েন প্রধানমন্ত্রী। তারপর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৮ বছরে উত্তর-পূর্বে নাশকতা ও হিংসার ঘটনা ৭৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। ডিফুতে শান্তি, একতা ও উন্নয়ন জনসভায় মোদি বলেন, “সমগ্র উত্তর-পূর্ব থেকেই পর্যায়ক্রমে আফস্পা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে কেন্দ্র।”
ডিফু থেকে ডিব্রুগড়ে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রতন টাটাকে সঙ্গে নিয়ে, অসম সরকার ও টাটা ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে সাতটি ক্যানসার হাসপাতালের উদ্বোধন ও আরও সাতটি ক্যানসার হাসপাতালের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে মোট ১৭টি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরিতে টাটা গোষ্ঠী ৮৩০ কোটি টাকা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্যানসার উত্তর-পূর্বে বড় সমস্যা। এতগুলি উন্নত ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি হওয়ায় সেই সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন ও স্বাগত জানিয়ে টুইট করেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা (AFSPA) প্রত্যাহারের দাবি আজকের নয়, দীর্ঘ সময়ের। সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনী তাঁদের উপর অকথ্য নির্যাতন করে বলে প্রায়শয়ই অভিযোগ ওঠে। নয়ের দশক থেকে অসম, নাগাল্যান্ড-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের প্রায় সবকটি রাজ্য ‘উপদ্রুত এলাকা’ হিসাবে চিহ্নিত করে সেখানে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করার অধিকার দিয়েছে কেন্দ্র। প্রতি ছ’মাস অন্তর অন্তর এই আফস্পার মেয়াদ বৃদ্ধি হয়। গতবছর নাগাল্যান্ডে সেনার গুলিতে ১৩ জন নাগরিকের মৃত্যুর পর যেভাবে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল, তাতে বিতর্কিত মেয়াদ বৃদ্ধির আগে কেন্দ্র ভেবে দেখবে বলেই মনে করা হচ্ছিল।