মলয় কুণ্ডু: ফের আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসা কুড়োল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) সরকার। করোনা পরিস্থিতি (Coronavirus) উপেক্ষা করে যেভাবে ঘরে ঘরে সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, বুধবার তার ভূয়সী প্রশংসা করল বিশ্বব্যাংক (World Bank), ইউনিসেফ (UNICEF)। বুধবার নবান্নে দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারচুয়ালি কথা বলেন। ‘দুয়ারে সরকার’ থেকে শুরু করে ‘চোখের আলো’ – সমস্ত প্রকল্পের কাজ নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ এবং সরকারি স্তরে কাজের প্রশংসা করেন তাঁরা।
বুধবার নবান্নে সাম্প্রতিক সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা প্রাপকদের হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। যার মধ্যে ছিল ‘দুয়ারে সরকার’, ‘চোখের আলো’, ‘পাড়ায় সমাধান’ এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’। সরকারের ঘোষিত এই চার নতুন প্রকল্পের সুবিধা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন কোটিরও বেশি রাজ্যবাসী। এদিন সেই সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ করা হয় বিশ্বব্যাংক এবং ইউনিসেফের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে। বিশ্বব্যাংকের তরফে জুনেইদ কামাল আহমেদ যোগ দেন নবান্নের বৈঠকে। তাঁর মতে, করোনা কালেও রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে যেভাবে কাজ হয়েছে, তাতে উপকৃত হয়েছেন অন্তত ৯৫ শতাংশ সাধারণ মানুষ। একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে কাজ করার জন্যই এই সাফল্য বলে মনে করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভাঙন রোখার চেষ্টা! অমিত শাহর সফরের আগেই দলের সাংসদ-বিধায়কদের তলব মমতার]
এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধিও। তিনি বলেন, রাজ্যের শিশুকন্যা এবং কিশোরীদের জন্য ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’র মতো সরকারি সামাজিক প্রকল্পগুলির ব্যাপক সুফল পেয়েছেন বহু মানুষ, যা খুবই প্রশংসনীয়। তবে তাঁর পরামর্শ, ঠিকমতো সকলে এসব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা, তা দেখার জন্য নজরদারি দরকার। তাতে যেন ত্রুটি না থাকে। তাহলে আরও উন্নত হবে সরকারি পরিষেবা। সকলের কাছে সহজে, স্বচ্ছভাবে তা পৌঁছনো সম্ভব হবে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার বিধানসভায়]
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে। বিশ্বের দরবারে সমাদৃত বাংলার আরও অনেক সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পই। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পৃথক। করোনার জেরে বাধা পড়েছে অনেক কিছুতেই। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই রাজ্য সরকার ধারাবাহিকভাবেই পরিষেবা প্রদান করে গিয়েছে। ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের গলায় তাই এত সুনাম।