সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গোটা স্টেডিয়ামকে চুপ করিয়ে দেব।’ মেগা ফাইনালে নামার আগে এমনই আত্মবিশ্বাসের সুর ছিল প্যাট কামিন্সের গলায়। বাস্তবেও তেমনটাই ঘটল। অজি অধিনায়কের কাছে যেন বশ্যতা শিকার করে নিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার দর্শক। রোহিত বাহিনীকে উৎসাহ দেওয়ার গুরু দায়িত্ব ছিল যাঁদের উপর, সেই সমর্থকরা হারের আগেই হার মানলেন। আর তাতেই নেটদুনিয়ার তোপের মুখে দর্শকরা।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। একসঙ্গে ১ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষ বসে ম্যাচ উপভোগ করতে পারেন। ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে মোতেরা স্টেডিয়ামকে এভাবেই ঢেলে সাজানো হয়েছিল। বদলে গিয়েছিল নামও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে নামকরণ হয়। আহমেদাবাদের এই স্টেডিয়ামই পেয়েছিল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচের দায়িত্ব। এমনকী ভারত বনাম পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচও আয়োজিত হয় এই ২২ গজেই। কিন্তু ফাইনালে দর্শকদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ চূড়ান্ত হতাশ করল দেশবাসীকে।
[আরও পড়ুন: ফাইনাল হেরে বিধ্বস্ত ভারত, ড্রেসিংরুমে গিয়ে রোহিতদের সান্ত্বনা মোদির]
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে স্কোরবোর্ডে বিরাট রান তুলতে পারেননি কোহলিরা। ২৪১ টার্গেট নিয়ে মাঠে নামের কামিন্সরা। এমন পরিস্থিতিতে স্টেডিয়ামের শব্দব্রহ্মই ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজকে কাজেই লাগাতে পারলেন না রোহিত শর্মারা। অজিদের তিনটে উইকেটের পতনের পর যখন ট্রাভিস হেড এবং লাবুশানে ক্রিজে জাঁকিয়ে বসেছেন, তখন স্টেডিয়াম একেবারে নিশ্চুপ। দলকে উৎসাহ দিয়ে চাঙ্গা করার পরিবর্তে হতাশায় নিমজ্জিত দর্শকরাই। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের এহেন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
অনেকেই বলছেন, এর চেয়ে ওয়াংখেড়ে, চিন্নাস্বামী কিংবা ইডেনে ম্যাচ হলে অনেক ভালো সমর্থন পেতেন রোহিতরা। সেমিফাইনালে ওয়াংখেড়েতে শামি ক্যাচ মিস করার পর গোটা স্টেডিয়াম শামির নাম ধরে চিৎকার করেছিলেন। তাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন ভারতীয় পেসার। আবার এক নেটিজেনের দাবি, আহমেদাবাদের এক লক্ষের বেশি দর্শকের তুলনায় চিন্নাস্বামীর ৩৫ হাজার দর্শকের গলায় অনেক বেশি জোর। সবমিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে এভাবেই দর্শকদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নেটদুনিয়া।