সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি একজন ভারতীয় নারী। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম নিজের অপরিসীম স্মৃতিশক্তির জন্য পুরস্কৃত হন নিজের দেশে। তারপর মাত্র ২২ বছর বয়সে চিনে ‘ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার অফ মেমোরি’-তে অংশগ্রহন করে ব্রোঞ্জ জিতে ফিরে আসেন। তাঁর নাম বৈষ্ণবী ইআরলাগাদা। তিনি হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। বর্তমানে বৈষ্ণবী ঠিক করেছেন কীভাবে কেউ নিজের স্মৃতিশক্তি তৈরি করবেন সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে তিনি নিজের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র খুলবেন।
ছোটবেলা থেকেই তাঁর প্রিয় খেলা ‘মেমোরি গেম’। একটু বড় হওয়ার পর থেকেই তাঁর বাবা মা বুঝতে শুরু করেন তিনি আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের থেকে একেবারে আলাদা। কোনও সময়, তারিখ, জায়গা বা ঘটনার কথা একবার শুনে বা পড়ে তিনি যতটা মনে রাখতে পারেন তা অনেক বড় বড় লোকেরাই পারেন না। তাই তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ‘মেমোরি গেম’ গুলোতে মেয়েকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন বাবা-মা। এরপর মাত্র ১৫ বছর বয়সে মেয়েটি নিজের এই অস্বাভাবিক স্মৃতিশক্তির জন্য পুরস্কৃত হয় দেশে। আর সেখান থেকেই উৎসাহ নিয়ে শুরু হয় তোড়জোড়। অবশেষে ২২ বছর বয়সে সুযোগ আসে চিনে ‘ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার অফ মেমোরি’-তে অংশগ্রহন করার। সেখানেও স্মৃতিশক্তিতে গোটা পৃথিবীর প্রথম ১০০ জন মহিলার মধ্যে চলে আসে তাঁর নাম। আর সেই বছর চিন থেকে কনিষ্ঠতম বিজেতা হিসেবে ব্রোঞ্জ জিতে ফিরে আসেন দেশে। এরপর দেশে ফিরে সেই সময়ের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এর জন্য পুরস্কৃতও হন তিনি। কিন্তু ওই শেষ। তারপর আর সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রকার সাহায্য পাননি। এমনকি তাঁর এই অপরিসীম মেধাকেও কোনওভাবে কাজে লাগানোর কথা ভাবেননি বর্তমান সরকার, এমনটাই অভিযোগ বৈষ্ণবীর।
[দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
তিনি জানিয়েছেন, ‘এতদিন অপেক্ষা করলাম, তবু সরকারের পক্ষ থেকে আমার কোনও ডাক এল না। তাই আমি নিজেই ঠিক করেছি এবার নিজের একটা স্কুল খুলবো। কারণ ভারতবর্ষে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ঠিক মতো জানেনই না যে কীভাবে নিজের স্মৃতিশক্তি তৈরি করতে হয় বা ধরে রাখতে হয়। তাই আমি এবার সেই সব মানুষকে নিজের স্মৃতিশক্তি গঠনের প্রশিক্ষণ দেব।’
[উপযুক্ত জবাব পাবে পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি নির্মলার]
The post দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক স্মৃতিশক্তি প্রতিযোগিতা জয়ী খুলতে চলেছেন তাঁর নিজের স্কুল appeared first on Sangbad Pratidin.