সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের মার্চেই একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে গোটা বিশ্বের নজরে এসেছিল সৌদি আরব (Saudi Arabia)। এবার সামনে আরেক তথ্য। সৌদির ১০ জন বিচারককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীদের প্রতি বেশিই নরম মনোভাব দেখানোর ‘অপরাধে’। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে তেমনই দাবি করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রের সঙ্গে মারাত্মক বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়ে মামলায় অতিরিক্ত নরম মনোভাব দেখানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ওই বিচারকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘গান্ধীবাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের নিন্দায় মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য]
অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল্লা বিন খালেদ আল-লুহাইদানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিখ্যাত নারীবাদী লৌজেইন আল-হাতলৌলকে এক মামলায় মাত্র দু’মাসের মধ্যেই মুক্তি দিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মামলাটির শুনানি ছিল তাঁর এজলাসে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আবদুল্লা। ফলে ৬ বছরের সাজার জায়গায় মাত্র ২ বছর ১০ মাস গরাদের পিছনে থাকতে হয় তাঁকে। বাকি অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও এমনই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। ১০ অভিযুক্তের মধ্যে ছ’জন বিশেষ অপরাধ আদালত ও চারজন হাই কোর্ট, যা সেদেশের শীর্ষ আদালতের বিচারক ছিলেন। গত বছরের এপ্রিলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বিচারের ভার যাঁদের উপরে, তাঁদের বিরুদ্ধে স্রেফ নরম মনোভাব দেখার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার এমন নির্দেশে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের সাজার মধ্যে দিয়ে আসলে সৌদি প্রশাসন গোটা দেশের বিচারকদের আরও বেশি কঠোর হওয়ার বার্তা দিতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।