সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে গাজায় হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ। তার মধ্যেই তেল আভিভে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবোল্লার (Hezbollah)! এবার ইজরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির এক ফুটবল স্টেডিয়ামে আছড়ে পড়ল তাদের ছোড়া রকেট। ইজরায়েলের তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে। হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুও। আহত ১৩।
এই পরিস্থিতিতে হেজবোল্লাকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ফোনে তিনি গোলানের দ্রাজ সম্প্রদায়কে বলেছেন, ''হেজবোল্লাকে এর বড়সড় মূল্য চোকাতে হবে। যা তারা কখনও চোকায়নি।'' ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের লড়াইয়ের সময় সিরিয়ার থেকে গোলান ছিনিয়ে নেয় ইজরায়েল। একে অবশ্য স্বীকৃতি দেয়নি বহু দেশ।
এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে হেজবোল্লা। তাদের তরফে এক বিবৃতি পেশ করে বলা হয়েছে, ''এই ঘটনার সঙ্গে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের কোনও যোগ নেই। এই ধরনের সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করা হচ্ছে।''
[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে বাতিল একগুচ্ছ লোকাল, চরম নাকাল যাত্রীরা]
সাম্প্রতিক অতীতে ইজরায়েলের একাধিক বসতি লক্ষ্য করে লাগাতার হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে হেজবোল্লাকে। গাজায় ও ইজরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর ছোটখাটো হামলা চললেও সাম্প্রতিক সময়ে তা গুরুতর আকার নিয়েছে। জুলাইয়ের শুরুতেই ইজরায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী। হামলায় আহত হন ইজরায়েলের ১৮ সেনা জওয়ান। এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (IDF)। কয়েকদিন আগেই ইজরায়েলের রামথা সেনা ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ে হেজবোল্লার ছোড়া রকেটের ঝাঁক। একই ভাবে নতুন করে স্থাপিত আইডিএফের সদর দপ্তরে কামিকাজে ড্রোন হামলাও চালানো হয়।
ইজরায়েলের পালটা হামলায় এখনও পর্যন্ত ইরান মদতপুষ্ট হেজবুল্লার ৩৫৬ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের তরফে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবোল্লার বিরুদ্ধে কোনও কূটনৈতিক সমাধানে না পৌঁছলে লেবাননে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে তারা। সব মিলিয়ে হামলা, পালটা হামলায় রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্য।