হিমাঙ্কের ৩৪ ডিগ্রি নিচে তাপমাত্রা, শীতের মারণ কামড়ে আফগানিস্তানে মৃত ১৬২

01:28 PM Jan 28, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্দুক-বারুদ নয়, শীতের (Severe Cold) মারণ কামড়ে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে (Afghanistan) চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৬২ জনের। ভয়ংকর শৈত্যপ্রবাহ আগামী এক সপ্তাহ কিংবা তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে বলে আশঙ্কা কাবুলের (Kabul) আবহাওয়া দপ্তরের। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে, মনে করছে স্থানীয় প্রাশসন। পরিস্থিতি ক্রমশ করুণ হয়ে উঠছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, প্রবল শীতের সঙ্গে লড়ার মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই গরিব আফগানদের কাছে।

Advertisement

গত ১৫ বছরের মধ্যে শীতলতম জানুয়ারির সাক্ষী কাবুল-সহ গোটা দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে -৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার প্রভাবেই চলতি মাসে আফগানিস্তানে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে মোট ৮৪ জনের। বিপর্যয় মোকবিলা মন্ত্রকের মুখপাত্র সইফুল্লা রহিমি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “গত ১০ জানুয়ারি থেকে আজ অবধি প্রবল শীতে ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।”

[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ফিরল ফ্লয়েড স্মৃতি, ‘মা গো!’ বলে পুলিশের মারে লুটিয়ে পড়লেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক]

তালিবান শাসনে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছিল আফগানিস্তান। অনাহারে মৃত্যু হচ্ছিল বহু মানুষের। তার মধ্যে এবার শীতের কামড়ে প্রাণ খোয়াচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। ভয়ংকর শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। এমন পরিস্থিতিতে মহিলা সেবাকর্মীদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি দুঃস্থদের ঠিক মতো সাহায্য করতে পারছে না বলেও অভিযোগ। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করেছে বলেও খবর। জানা গিয়েছে, কাবুল শহরে দিনের বেলা শিশুরা প্ল্যাস্টিক কুড়িয়ে বেড়াচ্ছে। রাতে ওই প্লাস্টিক পুড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে পরিবারগুলি। বাড়ির নিচের অস্থায়ী বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়া এক আফগান পিতা জানাচ্ছেন, পাঁচ সন্তান ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। গোটা রাত কাঁদছে। কিন্তু কয়লা যোগাড় করার ক্ষমতা নেই আমার।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: আস্ত হাসপাতাল, চিকিৎসাযন্ত্রও আধুনিকতম, কিন্তু রোগীরা পুতুল! বিস্মিত করে সিঙ্গাপুর]

চলতি সপ্তাহেই কাবুল সফরে আসেন রাষ্ট্রসংঘের (UN) প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মহিলা সেবাকর্মীদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ আফগানরা আরও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

Advertisement
Next