সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে (Fire) মালদ্বীপের (Maldives) রাজধানী মালেতে মৃত্যু হল ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয়। অন্যজন বাংলাদেশের (Bangladesh) নাগরিক। বাড়িটিতে আরও ২৮ জন থাকলেও তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে অগ্নি নির্বাপণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা জানিয়েছেন। তবে এই দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মালদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি টুইট করা হয়েছে। সেই পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘মালের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমরা মর্মাহত। মৃতদের মধ্যে ভারতীয়রাও রয়েছেন। আমরা মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।’ সেই সঙ্গে দূতাবাসের ফোন নম্বরও শেয়ার করা হয়েছে পোস্টে।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ বাবাকে কিডনি দেবেন মেয়ে, প্রশংসিত লালুকন্যা রোহিনীর সিদ্ধান্ত]
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে,বাড়িটির একতলায় আগুন লেগে যায়। দোতলায় শ্রমিকদের বাস। আগুন লাগতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপরই জানা যায়, ৯ জন ভারতীয়-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মালদ্বীপে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সেদেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের বসবাসের পরিকাঠামোয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। উল্লেখ্য, মালের আড়াই লক্ষ বাসিন্দাদের অর্ধেকই বিদেশি। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ থেকে অনেকেই এখানে কাজ করতে আসেন।
করোনা বিপর্যয়ের সময়ও এই প্রসঙ্গ উঠেছিল। দেখা গিয়েছিল, যে ধরনের ঘরে প্রায় গাদাগাদি করে শ্রমিকদের থাকতে হয় তা সত্য়িই ভয়াবহ। সেই প্রভাব পড়েছিল সংক্রমণেওর গ্রাফেও। ধরা পড়ে, মালদ্বীপের সাধারণ নাগরিকদের থেকে বিদেশি শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ বেশি। সেই বিতর্ক আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে এই বিতর্কে। দেখা গিয়েছে, যে বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তার ঘরগুলিতে মাত্র একটি করে ছোট জানলা ছিল। এই ধরনের ঘরে শ্রমিকদের নিরাপত্তা কত, উঠে গিয়েছে সেই প্রশ্নও।