সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্তানবুল বিমানবন্দরে আটকে ইন্ডিগোর প্রায় ৪০০ জন দিল্লি ও মুম্বইগামী ভারতীয় যাত্রী। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর্যাপ্ত জল, খাবার ও থাকার জায়গা ছাড়াই তাঁরা সেখানে আটকে পড়েছেন বলে খবর। সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। আটকে পড়া যাত্রীদের অভিযোগ, ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে ঠিক করে যোগাযোগ করছেন না। পর্যাপ্ত খাবার ও থাকার জায়গাও তাঁদের দেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে, বিমান চলাচলে দেরির কারণে এই অবস্থা।
১২ ডিসেম্বর ইস্তানবুল থেকে ইন্ডিগোর দিল্লিগামী একটি বিমান রাত ৮.১০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই বিমান ছাড়তে দেরি হয়। জানানো হয়, পরের দিন দুপুর দেড়টায় বিমানটি যাত্রা শুরু করবে। অভিযোগ, তা জানানোর পর ইন্ডিগোর কোনও কর্মী যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কোনওরকম সহায়তা ছাড়াই বিমানবন্দর ছাড়েন অনেকে। এরপরে ইস্তানবুল থেকে মুম্বইগামী একটি বিমান ১২ তারিখ রাত ৮.১৫-তে ছাড়ার কথা থাকলেও প্রথমে বলা হয় সেটি রাত ১১টায় যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু পরে ঘোষণা করা হয় পরের দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখ সকাল ১০টায় তা উড়বে। ফলে বিমানবন্দরে প্রায় ৪০০ জন যাত্রী আটকে পড়েন।
এক বিমানযাত্রী ক্ষোভ উগরে সোশাল মিডিয়ায় জানান, বিমান যাত্রা দীর্ঘ সময় পিছিয়ে গেলেও যাত্রীদের খাবার, জল, থাকার জায়গা দেওয়া হয়নি। এমনকী কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। ওই ব্যক্তি ইন্ডিগোর যাত্রী পরিষেবা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, বিমান বিলম্বের বিষয়ে ইন্ডিগোর কাছ থেকে কোনও যোগাযোগ পায়নি। আরও অভিযোগ, তুর্কি এয়ার লাইন্সের কর্মীরা তাঁদের বিভিন্ন আপডেট দিয়েছেন। কিন্তু ইন্ডিগোর তরফ থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। যাত্রীদের লাউঞ্জ ব্য়বহারের সুযোগ থাকলেও সেই জায়গা পর্যাপ্ত ছিল না। যার জেরে অনেককে দাঁড়িয়ে রাত কাটাতে হয়েছে বলে অভিযোগ।
ইস্তানবুল থেকে মুম্বইগামী বিমানের একযাত্রী সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, 'বিমানবন্দরে রাতভর আটকে পড়া যাত্রীদের প্রতি সহমর্মিতা কোথায়? সংস্থার কর্তৃপক্ষের কোনও উত্তর নেই কেন?' এই ঘটনার পর মুখ খুলেছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু কেন দেরি, সেই বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি।
২০২৪ সালের এয়ারহেল্প স্কোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থার অন্যতম ইন্ডিগো। এই এয়ার লাইন্সটি ১০৯টি এয়ার লাইন্সের মধ্যে ১০৩ নম্বর স্থানে রয়েছে।