সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার আফ্রিকার মাটিতে G20 সম্মেলনের আয়োজন। তাতে যোগ দিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে পৌঁছেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন তিনি। দুই দেশের সুসম্পর্কের উপর জোর দিয়ে তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
পাশাপাশি, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৫ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে মোদিকে সমবেদনা জানালেন আলবানিজ। জোর দিলেন সন্ত্রাসবিরোধিতায়। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''আমাদের সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। আশা করি, তা আরও শক্তিশালী হবে। অর্থনীতি থেকে প্রতিরক্ষা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।''
এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি জোহানেসবার্গ পৌঁছনো মাত্র উষ্ণ অভ্যর্থনা পান। সেখানকার ভারতীয় শিল্পীরা দেশীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানান। পরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্কৃতির মেলবন্ধনে চমৎকার অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় মোদির জন্য। এরপর একে একে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম বৈঠক হয় অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্টনি আলবানিজের সঙ্গে। বৈঠকের মাঝেই আলবানিজ দিল্লি বিস্ফোরণ এবং সৌদি আরবে উমরাহ যাত্রায় দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেন। সন্ত্রাস মোকাবিলায় তাঁর সরকারও হাতে হাত রেখে কাজ করতে চায়, তেমন বার্তা দেন মোদিকে।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলবানিজ বলেন, ''আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা করার আছে। আশা করি, প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, অর্থনীতি - নানা ক্ষেত্রে আমরা একে অপরকে সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে পারব।'' জি ২০ সম্মেলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য, ভারতের ঐতিহ্য 'বসুধৈব কুটুম্বকম'। অর্থাৎ এক পৃথিবীর, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। আমি সেটাই তুলে ধরতে চাই গোটা বিশ্বের সামনে। এই সম্মেলনের পাশাপাশি আমাদের সহযোগী দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলতে চাই।''
এদিন আলবানিজের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী সেখানকার এক প্রযুক্তি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
