সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেনে হামলা চালিয়ে যাত্রীদের পণবন্দি করল বালোচ বিদ্রোহীরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৫০০ জন যাত্রীবোঝাই ট্রেনে আচমকাই হামলা হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৬ জন আধিকারিককে খুন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। আপাতত ১০০ জন যাত্রীকে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী জাফার এক্সপ্রেস। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। যাত্রার মাঝপথে আচমকাই চলন্ত ট্রেনে হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। জানা গিয়েছে, মাশকাফ, ধাদার এবং বোলানে পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার পরে একটি বিবৃতি জারি করেছে এই বিদ্রোহী সংগঠন অর্থাৎ বালোচ লিবারেশন আর্মি। তাদের কথায়, রেলের ট্র্যাকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই ট্রেনের দখল নিয়েছে বালোচ আর্মির সদস্য়রা। হামলার মধ্যেই ৬জন নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি যাত্রীদের মধ্যে ১০০ জনকে পণবন্দি করে রেখেছে বালোচ বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি, মহিলা, শিশু এবং বালোচ যাত্রীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কোনও আমজনতাকেই আটকে রাখা হয়নি। কেবল পাক সেনা, পুলিশ, সন্ত্রাসবিরোধী ফোর্স এবং আইএসআইয়ের আধিকারিকদেরই আটক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে স্পষ্ট হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দিদের উদ্ধার করতে যদি কোনওভাবে অপারেশন চালায় সেনা বা অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনী, তাহলে ফল ভুগতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ১০০ জন পণবন্দির প্রত্যেককেই মেরে ফেলা হবে বলেই বিএলএর হুঁশিয়ারি। রক্তপাতের দায় নিরাপত্তাবাহিনীর ঘাড়েই বর্তাবে বলেই জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সরব এই বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তান এবং চিনে বড়সড় হামলা হবে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল তাদের তরফে। তাদের এমন অপারেশনের জবাব দিতে পারবে পাক প্রশাসন? নাকি বিদ্রোহীদের হাতে প্রাণ যাবে ১০০ পণবন্দির? ইতিমধ্যেই অবশ্য উদ্ধারকাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।