shono
Advertisement

Breaking News

জি-২০ সম্মেলনে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ব্রিটেনে গিয়ে ভারতীয়দের কাজ করার ছাড়পত্র সুনাকের

বুধবারেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
Posted: 12:02 PM Nov 16, 2022Updated: 01:26 PM Nov 16, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ (G20) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বৃক্ষরোপণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অংশগ্রহণকারী সকল দেশের নেতাদের সঙ্গে গাছ লাগাতে দেখা গেল দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও। বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emanuel Macron) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের (Rishi Sunak) সঙ্গে বুধবারই বৈঠক করতে পারেন মোদি। প্রসঙ্গত, সম্মেলনের প্রথম দিনে ঋষির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। তারপরেই তিন হাজার ভারতীয়কে ব্রিটেনে গিয়ে দু’বছর কাজ করার অনুমতি দিয়েছে সুনাকের সরকার।

Advertisement

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সকালেই ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন অংশগ্রহণকারী দেশের নেতারা। আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য। তাই ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। সেই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মিলে বৃক্ষরোপণ করেছেন মোদি। তারপরেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

[আরও পড়ুন: ‘আমি তৈরি’, ফের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়বেন, ঘোষণা ট্রাম্পের]

সম্মেলনের প্রথম দিন সৌজন্য সাক্ষাতের পর দ্বিতীয় দিনেই ঋষি সুনাকের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন মোদি। ইতিহাস গড়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবেন সুনাক, এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সাক্ষাতের পরেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে ঘোষণা করা হয়, “১৮-৩০ বছর বয়সি ভারতীয়দের ব্রিটেনে এসে দু’বছরের জন্য কাজ করার অনুমতি দেওয়া হল।” স্বভাবতই এহেন ঘোষণায় খুশি ভারতীয়রা।

সম্মেলনের প্রথম দিনে খাদ্য সংকট-সহ নানা আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আবার, রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য ভারতের যে সমালোচনা আমেরিকা ও পশ্চিমি দেশগুলি করছে, তারও যুক্তিপূর্ণ জবাব দিলেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে মোদির পরামর্শ, ‘‘আমাদের সকলের উচিত, শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা। ইউক্রেনের যা পরিস্থিতি, তাতে আমাদের সকলের উচিত ছিল সেখানে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি স্থাপন নিয়ে কোনও সমাধানের পথ বের করা।’’ মোদির সংযোজন, ‘‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা বিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিল। তখন রাষ্ট্রনেতাদের সম্মিলিত প্রয়াসে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এখন এই দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তেছে।’’

[আরও পড়ুন:‘হরিয়ানার কফ সিরাপে আফ্রিকায় শিশুমৃত্যু ভারতের জন্য লজ্জাজনক’, মন্তব্য ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতার

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement